মারিয়াম আ. যেভাবে শিশু ঈসাকে ভূমিষ্ঠ করেছিলেন
আল্লাহ পাক তাকে পবিত্র, সম্মানিত ও অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন একজন নবী-সন্তান দান করবেন- ফেরেস্তাদের এই সুসংবাদ শুনে স্বভাবতই তিনি চমকে উঠেছিলেন। স্বামী ছাড়া সন্তান! হ্যাঁ..।
আল্লাহ পাক সর্ববিষয়ে ক্ষমতাধর। যখন যা চান- “হয়ে যাও!" বলা মাত্রই হয়ে যায়।
আল্লাহর এই মহান ইচ্ছার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য হয়ে তিনি নীরবতা অবলম্বন করলেন।
সত্য বুঝতে না পেরে মানুষ তাকে দোষারােপ করবে -ভেবেও ধৈর্যের পথ বেছে নিলেন।
বমি বা ঋতুস্রাব জাতিয় কারণে মাঝে মাঝে তিনি মসজিদের বাইরেও যেতেন।
এমনি এক কারণে একদিন তিনি মসজিদে আকসার পূর্বদিকে বাইরে
ইসা বিন মারিয়াম আ.-এর প্রত্যাগমন
বসে ছিলেন।
সে মুহূর্তে আল্লাহ পাক ফেরেস্তা জিবরীল আ.কে মানুষের আকৃতিতে প্রেরণ করলেন।
তাকে দেখা মাত্রই পরপুরুষ ভেবে তিনি বলে উঠলেন- “তােমার অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই”! আল্লাহকে ভয় কর।
এবং এখান থেকে চলে যাও ! জিবরীল বললেন- “আমি তাে শুধু তােমার পালনকর্তা প্রেরিত (একজন ফেরেস্তা), তােমাকে এক পবিত্র-পুত্র দান করতে এসেছি।”
মারিয়াম আ. বললেন- “কিরুপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি কখনাে ব্যভিচারিণীও ছিলাম না.!?” ফেরেস্তা বললেন- “আল্লাহর জন্য সবকিছুই সহজ। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।” আল্লাহ পাক মানুষের জন্য একটি নিদর্শন রাখতে চান। কারণ, ১ আল্লাহ পাক আদমকে পিতা-মাতা-বিহীন সৃষ্টি করেছেন ১ হাওয়াকে পিতৃহীন পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছেন • ঈসাকে স্বামীহীনা সতী মহিলা থেকে সৃষ্টি করেছেন • বাকী সবাইকে পিতা-মাতা থেকে সৃষ্টি করেছেন
আল্লাহ পাক বলেন- “আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন ইমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুকে দিয়েছিলাম..” অর্থাৎ জিবরীল তার জামার আঁচলের দিকে ফু দিলেন। সে ফু গিয়ে জরায়ু স্পর্শ করে। অতঃপর গর্ভবতী হলে মরিয়ম আ. এক দূরবর্তী স্থানে চলে যা
No comments:
Post a Comment