Tuesday, 18 August 2020

দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তির উপায়

 ১-মুখোমুখি অবস্থান থেকে দূরে থাকা

ইমরান বিন হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন দাজ্জালের আগমন সংবাদ পেলে তোমরা দূরে পালিয়ে যেও. 

কারণ নিজেকে মমিন ভেবে অনেক মানুষ তার মুখোমুখি হবে কিন্তু অলৌকিক কর্মকাণ্ড গুলো দেখে অসহায়ের মতো তাকে অনুসরণ করবে (আবু দাউদ)

অর্থাৎ সব সময় দূরে অবস্থান করতে হবে নিজেকে সাহসী ভাবে কাছে যাওয়ার দুসাহস করা যাবে না 

 নবী করীম সা ছিলাম বলেন দারজালের ভয়ে মানুষ দূর পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেবে (মুসলিম) 

দারজালের সময় ইমাম মাহাদী থাকবেন তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকবেন।


উপায় 2 আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা **

আবু উমামা বাহিনীরা দল থেকে বর্ণিত নবী করীম সা ইসলাম বলেন দাজ্জাের ফিতনা থেকে বাচার  জন্য আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে (ইবনে মাজা) 

উপায় 3 আল্লাহর সিফাতী নাম সহ মুখস্ত করা**

 দারজাল কানা হবে অথচ আল্লাহু আকবর আল্লাহ পাক সকল ত্রুটি থেকে মুক্ত পবিত্র 

উপায় ৪

সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুখস্ত করে নিয়মিত পাঠ করা। 

আবুতারা থেকে বর্ণিত নবী করীম সা সালাম বলেন যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুক্তি করেছে দারজাল থেকে রক্ষা পেয়ে গেল (মুসলিম) 

উপায় 5 সূরা কাহাফ তেলাওয়াত অভ্যাস গড়ে তোলা


যে ব্যক্তি নির্ভুলভাবে সূরা পাঠ করলে তাকে সামনে পেলে কোন ক্ষতি করতে পারবেন না। 

উপায় 6 হারামাইন তথা মক্কা-মদিনা আশ্রয় নেওয়া। 

উপায় 7 নামাজের শেষ বৈঠকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া পড়া তাশাহুদ সালামের পূর্বকনে হাদীস নিম্নে বর্ণিত দোয়া পড়া।

 দারজালের খবর বেশি বেশি প্রচার করা 


বর্ণিত নবী করীম সা ইসলাম বলেন তার যতক্ষণ বের হবে না যতক্ষণ না মানুষ তার আলোচনা ভুলে যায় অর্থাৎ কেউ তখন তার যাবে আলোচনা করবে না  তখন বের হবে দাজ্জাল 

উপায় 7 শরীয়তের জ্ঞানকেই একমাত্র মুক্তির উপায় মনে করে। 

একজন মুমিনের জন্য শরীয়তের জ্ঞানীর কাজ ফেতনা হতে বাচার রক্ষাকবজ হাদিসে এমন একজন জ্ঞানী যুবকের দরজালের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্য ভূমিকা রয়েছে। 

আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত নবী করীম সা ইসলাম বলেন মদিনা ঢুকতে না পেরে তার চারপাশের মরুভূমিতে অবতরণ করবেন। 

মদিনার এক উৎকৃষ্ট যুবক তখন দরজায় মোকাবেলায় এগিয়ে যাবে বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তুই হচ্ছিস দারজাল যার ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাহু সালাম আমাদের সতর্ক করে গেছেন। 

দারজালের অনুসারীদের লক্ষ্য করে বলবে আমি যদি একে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করে দেই তবে তবে কি তোমরা আমার ব্যাপারে সন্দেহ করবে সবাই একবাক্যে বলবে না। 

অন্তপর দাজ্জাল তাকে   হত্যা করে অপর বর্ণনায় তাকে করাত দিয়ে আঘাত করে দুটুকরো করে দিবে পরে তাকে জীবিত হতে বললেন হাসিমুখে আল্লাহু আকবার বলে জীবিত হয়ে যাবে। 

যুবক বলবে এবার তো আমার বিষয়ে আরও দূড় হয়ে গেল যে তুই দরজার। 

অপর বণর্না এক জন বের হয়ে এল একজন মুমিন তার মুখোমুখি হতে চাইবে আর যা বলবে কোথায় যাচ্ছ বলবে এই অসভ্য টার দিকে যাচ্ছি 

দাজ্জাল বলবে তুমি  কি আমাদের পালনকর্তা বিশ্বাস করানো যুবক বলবে আমাদের পালনকর্তা মধ্যে কোন ত্রুটি নেই। লোকেরা তখন তাকে হত্যা করেবে না বলবে 

আমাদের প্রভু তাকে হত্যা করবে এ কথা বলে তাকে দারজেল কাছে নিয়ে যাওয়া হবে দাজ্জাল কে দেখেছে বলবে বলতে থাকলো সকলের দাবি করেছেন। 

তখন তাকে তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো নি তুই হচ্ছিস আর মৃত্যুর কথা শুনে তার দুই টুকরা করে দেবে তার কথিত অংশগ্রহণের মাঝে দিয়ে হেঁটে দাঁড়িয়ে জাবে 

ওই লোক সকল আমার মরার পর আর কাউকে এসে জীবিত করতে পারবেনা 

অন্তপর দাজ্জাল তাকে ধরে জবাই করতে চাইলে আল্লাহ আল্লাহ পাক যুক্তির অন্তর থেকে পর্যন্ত বানিয়ে দিবেন বলেন তাকে কিছুই করতে পারবে না 

শেষ হয় তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে দেবে মানুষ মনে করবে সে জাহান্নামী কিন্তু বাস্তবে তা কে জান্নাতে নিক্ষেপ করা হয়েছে অন্তত ইসলাম বলেন এই যুদ্ধে শহীদের মর্যাদা পাবে (মুসলিম)

No comments:

Post a Comment

ছোট ছোট আমল যা ১ মিনিটেই করা যায়

 ]_এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন_[] প্রশ্নঃ- আমরা অফিসে বা কর্মস্থলে ইবাদত-বন্দেগী ও নেককাজের তেমন কোন সময় পাই না। অফিসের পর বাকী যে স...