. ঈসা নবীকে আসমানে উত্তোলন আল্লাহ পাক বলেন-
“এবং কাফেররা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন, বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী। স্মরণ কর!
যখন আল্লাহ বলেছিলেন, হে ঈসা!
আমি তােমাকে নিয়ে নেবাে এবং তােমাকে নিজের দিকে তুলে নিবাে, কাফেরদের থেকে তােমাকে পবিত্র করে দেবাে।” (সূরা আলেইমরান ৫৫-৫৬)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন- “(অভিশাপ দিয়েছি ইহুদী জাতিকে) তাদের একথা বলার কারণে যে,
আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল।
অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায়।
পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে,
তারা এক্ষেত্রে মন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি।
বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ পাক নিজের কাছে।
আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে
। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে।” (সূরা নিসা ১৫৫-
ইহুদীরা ঈসা আ.
-এর বিরুদ্ধে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসকের কাছে কুৎসা রটিয়েছিল।
বিচারে ঈসাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যার সিদ্ধান্ত হলে ঈসাকে গ্রেফতার করতে বাড়ীতে বাহিনী পাঠানাে হয়।
নিজগৃহে অবরােধকালে ঘুমের মধ্যে ঈসাকে আল্লাহ আসমানের দিকে উঠিয়ে নেন এবং বাহিনীর একজনকে ঈসা সদৃশ বানিয়ে দেন।
শত আকুতি সত্তেও লােকেরা তাকে বাদশার দরবারে ধরে এনে ক্রুশবিদ্ধ করে অতঃপর ঈসা মছীহ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন শুনে সাধারণ খৃষ্টানর আত্মসমর্পণ করে।
এরপর ইহুদীদের ষড়যন্ত্রে তারা ধীরে ধীরে তার গভার সাগরে হারিয়ে যায়। আল্লাহ পাক বলেন-
“আহলে কিতাবদের সকল শ্রেণী তাদের মৃত্যুর পূর্বে ঈসার উপর ঈমান আনবে”।
অর্থাৎ শেষ জমানায় পৃথিবীতে ঈসা আ.- এর আগমনের পর সমকালীন সকল খৃষ্টান মুসলমান হয়ে যাবে।
তিনি এসে শুকর হত্যা করবেন, ক্রোশ ভেঙ্গে দেবেন, জিয়ার বিধান রহিত করবেন। ইসলাম ছাড়া সেদিন কিছুই গ্রাহ্য হবে না।
No comments:
Post a Comment