কিয়ামতের ক্ষুদ্রতম নিদর্শন সমূহ
। প্রথম ভাগঃ যেগুলাে ঘটে অতিবাহিত হয়ে গেছে-
১ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব ) নবী মুহাম্মদ সা.এর ইন্তেকাল
২-চন্দ্র বিদারণ ও সাহাবা যুগের অবসান ওবায়তুল মাকদিস (জেরুজালেম) বিজয়
৩- ব্যাপক প্রাণহানি (ছাগ-ব্যাধি সদৃশ এক মহামারীতে) ও একের পর এক ফেতনার আবির্ভাব
৪-স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আবিষ্কার
৫- মুসলমানদের আভ্যন্তরীণ সিফফীন যুদ্ধের বাস্তব প্রতিফলন ভ্রষ্ট খারেজী সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ।
৬- মিথ্যা নবুওয়াত দাবীদারদের আত্মপ্রকাশ
৭-শান্তি, নিরাপত্তা এবং সচ্ছলতার জয়-জয়কার
৮- হেজায ভূমিতে বিশাল অগ্নি প্রকাশ
৯-তুর্কীদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ
১০-চাবুকে আঘাতকারী অত্যাচারী ব্যক্তিবর্গের আবির্ভাব
১১-হানাহানি, সংঘাত এবং ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ
১২- মানুষের হৃদয় থেকে আমানতদারী তথা বিশ্বস্ততার বিদায় ,
১৩-পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির পদাঙ্ক অনুসরণ
১৪-দাসীর গর্ভ থেকে মনিবের জন্ম গ্রহণ ও স্বল্প কাপড় পরিহিত নগ্ন মহিলাদের আত্মপ্রকাশ
১৫-সুউচ্চ বাড়িঘর নির্মাণে নগ্নপদ আরব্য রাখালদের প্রতিযােগিতা
১৬- ব্যক্তিবিশেষে সালাম প্রদান
১৭-বাণিজ্য (বিজনেস) ব্যাপক আকার ধারণ
১৮- স্বামীর সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায় স্ত্রীর অংশগ্রহণ
১৯-সারা বাজারে মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীর প্রভাব
২০-ব্যাপকহারে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান
২১-ব্যাপকহারে সত্য সাক্ষ্য গোপন
২২-(দ্বীন সম্পর্কে) মূৰ্থতা ব্যাপক আকার ধারণ ব্যয়কুণ্ঠতা ও কার্পণ্যতা ব্যাপক আকার ধারণ
২৩-ব্যাপকহারে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করণ
২৪-প্রতিবেশীর সাথে দুর্ব্যবহার
২৫- অশ্লীলতা ব্যাপক আকার ধারণ
২৬- বিশ্বস্তকে বিশ্বাসঘাতক এবং ঘাতককে বিশ্বস্ত জ্ঞান ও মর্যাদাবান ব্যক্তিদের বিলুপ্তি এবং অধীনস্থতা প্রকাশ @সম্পদ-অর্জনে হালাল হারাম বিবেচনার বিলুপ্তি ও যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জ্ঞান
২৭-আমানতের বস্তুকে খরচের বস্তু জ্ঞান।
২৮-যাকাত আদায়কে জরিমানা জ্ঞান
২৯-আল্লাহর জ্ঞান ছেড়ে পার্থিব জ্ঞান অর্জনে মনােনিবেশ
২৯- মায়ের অবাধ্য হয়ে স্ত্রীকে সন্তুষ্টকরণ ও জন্মদাতা পিতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে বন্ধু-বান্ধবকে কাছে আনয়ন ও আল্লাহর ঘর মসজিদে উচ্চস্বরে হৈ হুল্লোড়
৩০-গােত্রীয় সম্প্রদায়ে পাপিষ্ঠদের নেতৃত্ব দান
৩১-জাতির নেতৃত্বে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিদের আগমন
৩২- আক্রমণের ভয়ে মানুষকে সম্মান দেখানাে গুড় মেয়েদের সাথে অবাধ মেলামেশা বৈধ জ্ঞান।
৩৩-রেশমি কাপড়ের ব্যাপক ব্যবহার ৪৩-মদ্যপান হালাল জ্ঞান
৪৪-গান-বাদ্য ও নর্তকীর নৃত্য বৈধ জ্ঞান
৪৫-ফেতনার আধিক্যে মানুষের মৃত্যু কামনা
৪৬-সকালে মুমিন থাকবে বিকালে কাফের হয়ে যাবে -এমন কালের আগমন
৪৭- মসজিদগুলােকে অধিক সুসজ্জিত করার প্রতিযােগিতা
৪৮-ঘরবাড়ী ডিজাইন এবং রকমারি কারুকার্য করণ
৪৮-অধিক হারে আকাশ থেকে বজ্র বর্ষণ
৪৯ব্যাপকহারে লেখালেখি এবং পুস্তক প্রকাশ
৫০-বাক-জাদুতে সম্পদ উপার্জন এবং চাপাবাজি প্রতিযােগিতা
৫১- কুরআন ছেড়ে অন্যান্য গ্রন্থাদির প্রচার প্রসার ® জ্ঞানী এবং দ্বীনের বাহকদের অভাব এবং কুরআন পাঠকের প্রভাব
৫২-ছােট ও স্বল্পজ্ঞানীদের কাছে এলেম অন্বেষণ © আকস্মিক মৃত্যুর হার বৃদ্ধি ও নির্বোধ লােকদের নেতৃত্ব
৫৩- দ্রুত গতিতে সময় পার
৫৪- বড় বিষয়ে নিচু লােকদের বাক-যুদ্ধ দুনিয়ার সবচে সৌভাগ্য শীল ব্যক্তি- লুকা বিন লুকা
৫৫- মসজিদকে যাতায়াত ও পারাপারের পথ হিসেবে ব্যবহার
৫৬- মােহরের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস
৫ ৭ -অশ্বের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস
৫৮- বাজার ও দোকানপাট নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া। ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সকল বিধর্মী রাষ্ট্রের একক অবস্থান
৫৯- নামাযের ইমামতিতে মুসল্লিদের ধাক্কাধাক্তি।
৬০- মুমিনের সত্য স্বপ্ন
৬১- মিথ্যা ব্যাপক আকার ধারণ
৬২-পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ প্রকাশ
৬৩- ব্যাপকহারে ভূ-কম্পন সৃষ্টি
৬৪- নারী জাতির আধিক্য
৬৫- পুরুষ হ্রাস
৬৬- অশ্লীলতা ও নােংরামি ব্যাপক ও খােলখােলি
****যে সকল নিদর্শন এখন পর্যন্ত ঘটেনি-***
১- হাতে হাতে প্রচুর ধন-সম্পদ ® ভূমির আভ্যন্তরীণ খনিজ সম্পদ প্রকাশ
২- রূপ-বিকৃতির ঘটনা বৃদ্ধি * ভূমিধ্বস
৩- অপবাদ প্রবণতা বৃদ্ধি
৪- এমন বৃষ্টি, যা সকল জনপদকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে
৫-ফসলহীন বৃষ্টি (বৃষ্টি হলেও ফসলে বরকত হবে না)
৬-সকল আরব দেশে ছড়িয়ে যাবে -এমন ফেতনা
৭-মুসলমানদের সাহায্যে বৃকুলের কথন
৮-মুসলমানদের সাহায্যে পাথরের কথন
৯-ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সর্বশেষ যুদ্ধ
১০- (ইরাকের) ফুরাত নদীতে স্বর্ণের খনি উন্মােচন
১১-হারামে লিপ্ত হও, নয় বিদায় হও!
১২-আরব উপদ্বীপ সবুজ শ্যামল পরিবেশ এবং নদীনালায় পূর্ণ
১৩- “আহলাছ-' এর ফেতনা প্রকাশ
১৪-সচ্ছলতা-র ফেতনা প্রকাশ
১৫"অন্ধকার-” ফেতনার আবির্ভাব
১৬- একটি মাত্র সেজদা সারা দুনিয়া অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতা লাভ
১৭-চন্দ্র-স্থীতি
১৮- সকল মুসলমান শামে হিজরত করবে -
১৯- মুসলমান এবং রােমান (খৃষ্টান)দের মধ্যে বৃহত্তম যুদ্ধ
২০-মুসলমানদের কনস্টান্টিনােপল (বর্তমান তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল) বিজয়। (সেনাপতি মুহাম্মদ ফাতেহ-র নেতৃত্বে ইসলামের প্রাথমিক যুগে একবার বিজয় হয়েছিল। তবে শেষ জমানায় ইমাম মাহদীর বাহিনী পূনরায় তা বিজয় হবে)
২১- মীরাছ (ত্যাজ্য সম্পদ) বণ্টনের সুযােগ থাকবে না ও গণিমত (যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদ) নিয়ে আনন্দ উল্লাসের সুযােগ থাকবে না
২২- তীর-তলােয়ার এবং অশ্বের যুগ পুনঃ প্রত্যাবর্তন
২৩-বায়তুল মাকদিসের আশপাশে (জেরুজালেমে) জনবসতি বৃদ্ধি
২৪ -বিনাশের সম্মুখীন হয়ে মদিনা -বসতি ও আগন্তুক শূন্য
২৪-মদিনা থেকে সকল কাফের-মুনাফিকের নির্বাসন
২৫-পর্বতমালার স্থানচ্যুতি
২৬- 'কাহতান-' গােত্র থেকে এক মহান মান্যবর ব্যক্তির আবির্ভাব
২৭- 'জাহজাহ-' নামক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ
২৮-চতুষ্পদ জন্তু এবং জড়বস্তুর সাথে মানুষের বাক্যালাপ
২৯-লাঠির অগ্রভাগের সাথে মানুষের বাক্যালাপ
৩০-জুতার ফিতার সাথে মানুষের বাক্যালাপ
৩১-ঘরে কি হচ্ছে.. উরুর পেশি মানুষকে এর সংবাদ প্রদান
৩২- কেয়ামতের পূর্বমুহূর্তে সকল মুমিনের মৃত্যু
৩৩-কাগজের পাতা এবং মানুষের অন্তর থেকে কুরআন উত্তোলন
৩৪- কাবা ঘরের দিকে (ইমাম মাহদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসা বিশাল নামধারী মুসলিম বাহিনীর মাটির নিচে ধ্বস।
৩৫-আল্লাহর ঘরের দিকে মানুষের হজ্ব ত্যাগ
৩৬-কতিপয় আরব গােত্র মূর্তি পূজায় পুনঃ প্রত্যাবর্তন
৩৭-কুরায়েশ বংশের বিলুপ্তি
৩৮- একজন কালাে হাবশী (বর্তমান ইথিউপিয়া) লােকের হাতে কাবা ঘর
৩৮-মুমিনদের রূহ ছাড়িয়ে নিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুবাতাস প্রেরণ
৩৯- মক্কা নগরীর ভবনগুলাে আকাশ-সম উঁচু করে নির্মাণ
৪০- পরবর্তী মুসলমান কর্তৃক পূর্ববর্তী মুসলমানদের গালমন্দ-করণ
৪১- নিত্যনতুন অত্যাধুনিক যান বাহন (গাড়ী, বাস, ট্রেন, প্লেন ইত্যাদি) আবিষ্কার
৪২- ইমাম মাহদীর আবির্ভাব।
সুবহানাল্লাহ
ReplyDelete