। যে পরিস্থিতিতে তিনি অবতরণ করবেন
সদ্যই মুসলমান বৃহৎ যুদ্ধে খৃষ্টানদের পরাজিত করে কনস্টান্টিনােপল শহর বিজয় করেছে।
পূর্বেই আলােচিত হয়েছে যে, অস্ত্রের মাধ্যমে নয়; শুধুমাত্র আল্লাহু আকবার ধ্বনিতেই কনস্টান্টিনােপল বিজয় হবে।
অতঃপর শয়তানের ঘােষণা শুনে সবাই দামেস্কে ফিরে আসবে। এর পরপরই দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
সারাবিশ্ব ভ্রমণ করে সে মহা-ফেতনা ছড়িয়ে দেবে। অপর বিস্তারিত বর্ণনায়-
নবী করীম সা. বলেন- “দাজ্জাল মৃত-ভূমিতে অবতরণ করলে মদিনায় দু-টি ভূ-কম্পন অনুভূত হবে।
আতঙ্কে সকল মুনাফিক মদিনা থেকে বেরিয়ে দাজ্জালের সাথে চলে যাবে। অতঃপর দাজ্জাল শামে এসে
মুসলিম বাহিনীকে অবরােধ করবে।
মুসলমান সেখানে মহা দুর্ভিক্ষে পতিত হবে। এহেন পরিস্থিতিতে এক মুসলমান বলতে থাকবে- ওহে মুসলমান!
তােমরা এভাবে বসে আছ কেন? শত্রুবাহিনী তােমাদের ভূমিতে উপনীত হয়েছে!!
জেগে উঠ..!! এখন-ই সময় পুণ্য অর্জনের, এখন-ই সময় শহীদ হওয়ার..!!
অতঃপর সকলেই মৃত্যুর উপর বায়আত গ্রহণ করবে।
আল্লাহ পাক তাদের সততাকে কবুল করে নেবেন। কিছুক্ষণ পর কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকার এসে
মুসলমানদের ঢেকে ফেলবে-
এমন সময় মরিয়ম তনয় ঈসা আসমান থেকে অবতরণ করবেন।
অন্ধকার দূর হলে রণসাজে সজ্জিত অচিন ব্যক্তিকে সবাই দেখতে পাবে। বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করবে, কে আপনি?
তিনি বলবেন, আমি আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল, আল্লাহর কালিমা এবং প্রেরিত রূহ ঈসা বিন মরিয়ম..!
! তােমাদের সামনে তিনটি অপশন রয়েছে-
১) দাজ্জাল ও তার বাহিনীর উপর আল্লাহ আসমানী গযব নাযিল করবেন।
২) তাদেরকে মাটির নিচে ধ্বসে দেবেন।
৩)তাদের অস্ত্র-শস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে তােমাদের হাতে তাদের মৃত্যু ঘটাবেন। মুসলমান বলবে- শেষােক্ত অপশনটি-ই আমাদের জন্য অধিক শান্তি-দায়ক।
সেদিন সুঠাম দেহবিশিষ্ট শক্তিশালী ইহুদী-ও ভয়ে তরবারি উত্তোলনে সক্ষম হবে ।
আল্লাহ পাক তাদেরকে নির্মম শাস্তি দেবেন। সেদিন ইহুদীবাদ সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
ঈসা নবীকে দেখে দাজ্জাল মােমের মত গলতে থাকবে। কিন্তু আল্লাহর নবী ঈসা -দৌড়ে গিয়ে স্ব-হস্তে দাজ্জালকে বর্ষার আঘাতে হত্যা করবেন।
. ঈসানবী অবতরণের দলিলঃ
শেষ জমানায় দাজ্জালকে হত্যা করতে ঈসানবী আসমান থেকে অবতরণ করবেন। শরীয়তে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত দলিল বিদ্যমানঃ
কোরআনের দলিলঃ
আল্লাহ পাক বলেন- “যখনই মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল,
তখনই আপনার মদায় হজ্জগােল শুরু করে দিল এবং বলল, আমাদের উপাস্যর শ্রেষ্ঠ, না সে?
তারা আপনার সামনে যে উদাহরণ উপস্থাপন করে তা কেবল বিতর্কের জন্যেই করে।
বস্তুতঃ তারা হল এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়। সে তাে এক বান্দাই বটে আমি তার প্রতি।
অনুগ্রহ করেছি এবং তাকে করেছি বনী-ইসরাইলের জন্যে আদর্শ।
আমি ইচ্ছা করলে তােমাদের থেকে ফেরেস্তা সৃষ্টি করতাম, যারা পৃথিবীতে একের পর এক বসবাস করত।
সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন। কাজেই তােমরা কেয়ামতে সন্দেহ করাে না এবং আমার কথা মান। এটা এক সরল পথ।” (সূরা যুখরুফ ৭৫-৬১)
উপরােক্ত আয়াতে ঈসানবীকে আল্লাহ কেয়ামতের নিদর্শন বুলেআিখ্যায়িত
No comments:
Post a Comment