Saturday, 29 August 2020

ছোট ছোট আমল যা ১ মিনিটেই করা যায়

 ]_এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন_[]


প্রশ্নঃ- আমরা অফিসে বা কর্মস্থলে ইবাদত-বন্দেগী ও নেককাজের তেমন কোন সময় পাই না। অফিসের পর বাকী যে সামান্য সময় পাই এর মধ্যে আমরা কি কি আমল করতে পারি এবং এ সময়কে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি?

-------------

উত্তরঃ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।


সময় মানুষের জীবন। সময়কে কখনো অপচয় হতে বা অকাজে নষ্ট হতে দেয়ার মত নয়। প্রজ্ঞাবান ও বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে তার সময়ের সদ্ব্যবহার করে। তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তি সময়কে অহেতুক কাজে বা অর্বাচীন কথায় ব্যয় করে না। বরং তিনি সময়কে প্রশংসনীয় উদ্যোগ ও ভাল কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন। যে কাজ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে এবং মানুষের উপকার বয়ে আনে। জীবনের প্রতিটি মিনিটে আপনি একটি করে প্রস্তর স্থাপন করতে পারেন যা আপনার মর্যাদার ভবনকে উচ্চকিত করবে এবং যা দিয়ে আপনার জাতি সৌভাগ্যমণ্ডিত হতে পারবে। 


আপনি যদি মর্যাদার শিখরে পৌঁছুতে চান এবং আপন জাতিকে সৌভাগ্যমণ্ডিত করতে চান তবে আরাম-আয়েশকে না-বলুন এবং অনর্থক কথা ও কাজ পরিহার করুন।


এক মিনিট সময়ের মাঝে অনেক ভাল কাজ করা যেতে পারে এবং বিশাল সওয়াব পাওয়া যেতে পারে। শুধু আপনার জীবনের এক মিনিট সময় ব্যয় করে আপনি আপনার দানের পরিধি বাড়াতে পারেন, কোন কিছু উপলব্ধি করতে পারেন, কোন কিছু মুখস্থ করতে পারেন, যে কোন নেককাজ করতে পারেন। শুধু এক মিনিটেই আপনার ভালো কাজের আমলনামায় এই আমলগুলো লেখা হয়ে যাবে যদি আপনি জানেন কিভাবে এক মিনিট সময়কে কাজে লাগাতে হয় এবং বাস্তবে কাজে লাগান। কবি বলেন:


“প্রতিটি মিনিটে বৃহত্তর কল্যাণে প্রবৃত্ত হও।


যদি তুমি এক মিনিটকে ভুলে যাও তবে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও ভুলে যাবে; বরঞ্চ বাস্তবতাকে ভুলে যাবে।”


আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় এক মিনিটে আপনি যে যে আমলগুলো করতে পারেন নিম্নে এর কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হলো:


১) এক মিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، ) ও (سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ) ৫০ বার পড়তে পারেন। এ দুটি এমন বাক্য যা পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লাতে অনেক ভারী হবে; রহমানের নিকটে অতি প্রিয়; যেমনটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম।


(২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সুব্‌হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্‌বার পাঠ করা যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয়।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম (২৬৯৫)]আপনি এক মিনিটে বাক্যগুলো ১৮ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যগুলো আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়। এগুলো সর্বোত্তম কথা এবং আমলের পাল্লাতে এগুলোর ওজন অনেক বেশি হবে। যেমনটি এ মর্মে বর্ণিত সহীহ হাদিসসমূহে এসেছে ।


(৩) এক মিনিটে আপনি (لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ) (অর্থ- কোন উপায়-সামর্থ্য নেই, কোন শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) ৪০ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যটির সওয়াব জান্নাতের জন্য সঞ্চিত অমূল্য রত্ন; যেমনটি বর্ণিত হয়েছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে। একই ভাবে এটি কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বহন ও কঠিন কাজসমূহ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে এক মহৌষধ।


৪) এক মিনিটে আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ৫০ বার দরূদ পাঠ করতে পারেন। শুধু পড়বেন “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। এর প্রতিদানে আল্লাহ আপনার উপর ৫০০ বার সালাত (রহমত) পাঠাবেন। কারণ একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ ১০ বার এর প্রতিদান দেন।


(৫) এক মিনিটে আপনার মন আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, তাঁর ভালবাসা, তাঁর ভয়, তাঁর প্রতি আশা এবং তাঁর প্রেমে উদ্বেল হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি উবূদিয়্যাহ্‌ (আল্লাহর দাসত্ব) এর স্তরসমূহ অতিক্রম করতে পারেন; হতে পারে সে সময় আপনি হয়ত আপনার বিছানায় শুয়ে আছেন অথবা কোন পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছেন।


(৬) এক মিনিটে আপনি সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়তে পারেন।


(৭) এক মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ‘সিলাতুর রাহেম’ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারেন।


(৮) এক মিনিটে আপনি দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দোয়াগুলো হতে পছন্দমত যে কোন দোয়া করতে পারেন।


(৯) এক মিনিটে আপনি কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারেন ও তাদের সাথে মুসাফাহা করতে পারেন।


১০) এক মিনিটে আপনি (لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله) (অর্থ- আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই) প্রায় ৫০ বার পড়তে পারেন। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য ও তাওহীদের বাণী। এটি কালিমায়ে তাইয়্যেবা (উত্তম বাণী) ও সুদৃঢ় বাক্য। যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে এই বাক্য তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এছাড়াও এর ফজিলত ও মর্যাদার ব্যাপারে আরও অনেক বর্ণনা রয়েছে। 


(১১) একমিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَى نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ) (আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমান, তাঁর সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজনের সমান, তাঁর বাক্যমালার কালির সমান) এ দোয়াটি ১৫ বারের বেশি পড়তে পারেন। সাধারণ তাসবীহ ও যিকিরের চেয়ে এ বাক্যগুলো পাঠ করার সওয়াব অনেকগুণ


(১) এক মিনিটে আপনি সূরা ফাতিহা মনে মনে দ্রুতগতিতে ৩ বার পড়তে পারেন। কেউ কেউ হিসাব কষে দেখিয়েছেন একবার সূরা ফাতিহা পড়লে ৬০০ টিরও বেশি নেকি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি তিনবার সূরা ফাতিহা পাঠ করেন তবে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় ১৮০০ এর বেশি নেকি হাসিল করবেন। এত নেকী আপনি এক মিনিটেই পাচ্ছেন।


(১২) এক মিনিটে আপনি সূরা ইখলাস (ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ) মনে মনে দ্রুতগতিতে ২০ বার পড়তে পারেন। এই সূরা একবার পাঠ করলে কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি এ সূরাটি ২০ বার পাঠ করেন তবে তা ৭ বার কুরআন পড়ার সমতুল্য। অতএব আপনি যদি এ সূরাটি প্রতিদিন এক মিনিটে ২০ বার পাঠ করেন তবে মাসে আপনার ৬০০ বার পাঠ করা হয় এবং বছরে ৭২০০ বার পাঠ করা হয়। যার সওয়াব ২৪০০ বার সম্পূর্ণ কুরআন পড়ার সমতুল্য।


(১৩) এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কিতাবের এক পৃষ্ঠা পাঠ করতে পারেন।


(১৪) এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কিতাবের ছোট একটি আয়াত মুখস্থ করতে পারেন।


(১৫) এক মিনিটে আপনি নিম্নোক্ত দোয়াটি ২০ বার পড়তে পারেন।


لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ


এর সওয়াব ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ৮ জন দাসকে আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত করার সমান।


(১৬) এক মিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِه) ১০০ বার পড়তে পারেন। যে ব্যক্তি একদিনে এই দোয়াটি ১০০ বার পড়ে তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়; যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয় না কেন।

১৬) এক মিনিটে আপনি সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়তে পারেন।


(১৭) এক মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ‘সিলাতুর রাহেম’ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারেন।


(১৮) এক মিনিটে আপনি দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দোয়াগুলো হতে পছন্দমত যে কোন দোয়া করতে পারেন।


(১৯) এক মিনিটে আপনি কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারেন ও তাদের সাথে মুসাফাহা করতে পারেন।


(২০) এক মিনিটে আপনি কোন ব্যক্তিকে একটি মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করতে পারেন।


(২১) এক মিনিটে আপনি একজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষকে সান্ত্বনা দিতে পারেন।


(২২) এক মিনিটে আপনি পথ থেকে ক্ষতিকর কোন বস্তু অপসারণ করতে পারেন। 


(২৩) এই এক মিনিটের সদ্ব্যবহার অবহেলায় কাটানো বাকি সময়গুলোর সদ্ব্যবহার করার অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করতে পারে।


২৪) এক মিনিটে আপনি একটি ভাল কাজের আদেশ করতে পারেন।


(২৫) এক মিনিটে আপনি একজন ভাইকে নসিহত করতে পারেন।


ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: 

“যখন ঘুমন্ত লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে তখন আমি আমার চোখের অশ্রু ফেলি এবং শ্রেষ্ঠ কবিতার একটি চরণ বারবার আওড়াতে থাকি।


কোন জ্ঞান অর্জন ছাড়া রাতগুলো কেটে যাবে এবং আমার জীবন থেকে হিসেব করা হবে- এটি কি সময়ের অপব্যয় নয়? ”


পরিশেষে জানুন আপনার ইখলাস (একনিষ্ঠতা) ও আল্লাহর নজরদারির অনুভূতির ভিত্তিতে আপনার প্রতিদান বাড়বে, আপনার নেকীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।


জেনে রাখুন, এই আমলগুলোর বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না। এগুলোর জন্য আপনার পবিত্রতার প্রয়োজন নেই, ক্লান্তি বা কায়িক শ্রম নেই। বরং আপনি এ আমলগুলো করতে পারেন যখন আপনি পায়ে হেঁটে চলছেন অথবা গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন অথবা শুয়ে আছেন অথবা দাঁড়িয়ে আছেন অথবা বসে আছেন অথবা কারও জন্য অপেক্ষা করছেন।


একইভাবে এ আমলগুলো সুখী হওয়ার উপকরণ, আত্মপ্রশান্তির মাধ্যম, চিন্তা ও দুঃশ্চিন্তা দূর করার উপায়। আল্লাহ আমাদেরকে ও আপনাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার তাওফিক দিন। আমাদের নবীর প্রতি আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।


আপনাদের জন্য খুব কম সময়ের আমল খুঁজে নিয়ে পোস্ট করলাম। এখন এই আমল গুলির সবগুলো না করলে ও যদি কিছু কিছু আমল আমরা রমাদানে যথার্থ ভাবে করতে পারি কত কত নেকী জমা হবে সুবহানাল্লাহ! রমাদানে তো যেকোন কিছুর প্রতিদান বহুগুণে বর্ধিত করা হয়।


তাহাজ্জুদ নামায পড়ার নিয়ম ::: ♥

 ☞ তাহাজ্জুদ নামাযের সময়ঃ

অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের

মুল সময় মুলত রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ

পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশা সালাতের

পর পড়ে নেয়া জায়েয আছে।

তবে পরিপূর্ণ তাহাজ্জুতের মর্যাদা পেতে হলে, এশার নামাযের পর

ঘুমিয়ে রাত ২টা বা ৩টার দিকে উঠে নামায আদায় করতে হবে।


☞ তাহাজ্জুদ নামাযের আগে করণীয়ঃ

হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতেন তখন

মিসওয়াক করতেন এবং আমাদেরকেও মিসওয়াক করার হুকুম দেয়া হত,

আমরা যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতাম, অতঃপর নবী (সাঃ) অযু করতেন

(মুসলিম) । তারপর নীচের দু’আ ও তাসবীহগুলি দশবার করে পড়তেন ।

তারপর নামায শুরু করতেন (আবু দাউদ, মেশকাত ১০৮ পৃঃ)


☞ তাহাজ্জুদ নামাযের রাকআত সংখ্যাঃ

সর্ব নিম্ন দু রাকআত। আর সর্বোচ্চ ৮ রাকআত পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের

৮ রাকাত নামায আদায় করার পরে, বিতর ৩রাকাত নামায পড়া। রাসুল (সাঃ)

তাহাজ্জুদের নামায বেশিরভাগ সময় ৮রাকাত পরতেন এবং এঁর পর বিতরের

নামায পরে মোট ১১রাকাত পূর্ণ করতেন।


১। তাহাজ্জুদ নামায বিতরসহ ১৩, ১১, ৯ কিংবা ৭ রাকাত পড়া যায় (বুখারী, মুসলিম,

মেশকাত ১০৬ পৃঃ)

২। প্রথমে দু’রাকাত ছোট ছোট সুরা মিলিয়ে হালকাভাবে পড়ে আরম্ভ

করবে (মুসলিম, মেশকাত ১০৬ পৃঃ)

৩। অতঃপর দু’রাকাত করে, তাহাজ্জুদের নামায সাত রাকাত পড়তে চাইলে

দু’সালামে চার রাকাত পড়ে তিন রাকাত বিতর পড়বে । (বুখারী, মেশকাত

১০৬ পৃঃ)


(১) দশবার “আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)

(২) দশবার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই)

(৩) দশবার সুব্হানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী (আমি আল্লাহ প্রশংসার সাথে তাঁর

পবিত্রতা ঘোষনা করছি)

(৪) দশবার সুব্হানাল মালিকিল কদ্দুস (আমি মহা পবিত্র মালিকের গুণগান করছি)

(৫) দশবার আসতাগফিরুলাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি)

(৬) দশবার লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ

নেই)

(৭) দশবার আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন দীক্বিদ্দুনিয়া ওয়া দীক্বি

ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ (হে আল্লাহ! আমি এই জগতের এবং পরকালের সঙ্কট

থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি)


☞ তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়মঃ

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। যে কোন সুরা

দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখুস্ত থাকে

তবে, সেগুলো দিয়ে পড়াই উত্তম। কারন রাসুল (সাঃ) সব সময় বড় বড় সুরা

দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। তাই আমাদেরও বড় সুরা মুখুস্ত

করে, তা দিয়ে তাহাজ্জুত নামাদ আদায় করা উচিৎ।

যাইহোক, বড় সুরা মুখুস্ত না থাকলে যে কোন সুরা দিয়েই নামায আদায়

করা যাবে। নিয়ম হল ২রাকাত করে করে, এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক

রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর, অন্য যে কোন সুরা মিলানো। এভাবেই

নামায আদায় করতে হবে।


বিঃদ্রঃ- যদি এশার নামায পরে বিতরের নামায পড়ে থাকেন, তবে তাহাজ্জুত

নামায পড়ার পড়ে বিতর নামায পড়ার দরকার নেই। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু

করে ৮রাকাত তাহাজ্জুত নামায পরলেই হবে


আল্লাহ, আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদের পরিপূর্ণ মর্যাদা লাভ করার তৌফিক

দাণ করুন।

আমিন.......

ড্রিপেশন থেকে মুক্তির উপায়

 "হতাশ হয়ো না, উঠো! সিজদাহ করো এবং কাঁদো!" -- সূরা ইউসুফ : ৮৬

-

"আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।"

-- সূরা ত্বলাক : ৭

-

"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"

-- সূরা ইনশিরাহ : ৬


"হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।"

-- সূরা মারইয়াম : ৪

-

অতএব, কোনো হতাশা আমার জন্য নয়।

আমিই সফলকামী এবং বিজয়ী হবো,ইনশাল্লাহ!

-

"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।"-- সূরা বাক্বারা : ১৫৫

-

"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।"

‌‌ -- সূরা বাক্বারা : ১৫৩

-

"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।"

-- সূরা ইউসুফ : ৮৬

-

"জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।"

-- সূরা বাক্বারা : ২১৪

-

"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।"

-- সূরা ইউসুফ : ৮৭

-

"আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।"

-- সূরা বাক্বারা : ২৮৬

"' আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল '"

সকল অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করুন 😊

আল্লাহ  আপনাকে সকল বিপদ থেকে মুক্তি দিবে

জাহান্নমে _অবস্থানের পর জাহান্নামীরা চারটি আকাঙ্ক্ষা করবেঃ😭😭😭

 ১ম আকাঙ্ক্ষাঃ

তারা জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে। তাই তারা আল্লাহ তা'আলাকে বলবেঃ

رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُون

"হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নাও। আমরা যদি আবারও কুফরী করি তাহলে আমরা জালেম বলে গণ্য হবো।


 তখন তিনি তাদেরকে বলবেনঃ َ اخْسَئُوا فِيهَا وَلَا تُكَلِّمُون "তোমরা এখানে লাঞ্ছিত অবস্থায় পড়ে থাকো এবং আমার সাথে কোন কথা বলিও না"।


এই প্রত্যাশা থেকে নিরাশ হওয়ার পর তারা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারবে যে তাদের বের হওয়ার আর কোন পন্থা নেই। তখন তারা দ্বিতীয় আশাটি করবে।


২য় আকাঙ্ক্ষাঃ


وَ نَادٰۤی اَصۡحٰبُ النَّارِ  اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ اَفِیۡضُوۡا عَلَیۡنَا مِنَ الۡمَآءِ اَوۡ مِمَّا رَزَقَکُمُ  اللّٰہُ ؕ قَالُوۡۤا  اِنَّ اللّٰہَ حَرَّمَہُمَا عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ 

আর জাহান্নামের অধিবাসীরা জান্নাতের অধিবাসীদের ডেকে বলবে, “আমাদের ওপর কিছু পানি ঢেলে দাও অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে জীবিকা (খাদ্য) দান করেছেন তার কিছু অংশ আমাদের দিকে দাও।” তারা বলবে, “আল্লাহ তো (আজ) এ দুটোই কাফেরদের জন্য হারাম করেছেন।


কেন হারাম করা হলো? তারা কি করতো??


তারা তো সেইসব লোক (الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَهُمْ لَهْوًا وَلَعِبًا ) যারা তাদের দ্বীনকে বিনোদন ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেছিল।

 এবং (وَغَرَّتْهُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا) ۚ দুনিয়ার জীবন তাদেরকে  ধোঁকা দিয়েছিল।


৩য় আকাঙ্ক্ষাঃ

আশ্চর্য এক আকাঙ্ক্ষা! শুনলেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায়! আর তা হচ্ছে অন্তত একদিনের শাস্তি থেকে বাঁচতে চাওয়া। 

وَقَالَ الَّذِينَ فِي النَّار لِخَزَنَةِ جَهَنَّم اُدْعُوَا رَبّكُمْ يُخَفِّف عَنَّا يَوْمًا مِنْ الْعَذَاب 

"যারা আগুনের মধ্যে থাকবে তারা জাহান্নামের প্রহরীদেরকে ডেকে বলবে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট একটু দোয়া করো, তিনি যেন আমাদের থেকে (অন্তত) একদিনের শাস্তি কমিয়ে দেন"!!!


তখন জাহান্নামের প্রহরীরা তাদেরকে বলবেঃ

 (ولم تك تأتيكم رسلكم بالبينات)... 

"তোমাদের রাসূলগণ কি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আগমন করেননি? (قالوا بلى).... তারা বলবেঃ হ্যাঁ, তখন ফেরেশতারা আবারো বলবেনঃ

(فادعوا وما دعاء الكافرين إلا في ضلال)

তাহলে তোমরা ডাকতে থাকো আর কাফেরদের দোয়া ব্যর্থই হবে। তারপর তারা চতুর্থ আকাঙ্ক্ষাটি করবে জান্নাতীদের থেকে।


৪থ আকাঙ্ক্ষাঃ

তারা জাহান্নামের দাড়োয়ান মালিকের কাছে আবেদন জানাবে তিনি যেন তাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করেন।


আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ তারা (জাহান্নামীরা) ডাকবে, হে মালেক (জাহান্নামে দাড়োয়ান) তোমার পালনকর্তা যেন আমাদের জন্য একটা ফয়সালা করেন।

অর্থাৎ আজাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তারা মরতে চাইবে।  তখন তিনি বলবেনঃ (َ إِنَّكُم مَّاكِثُونَ) তোমরা এখানেই অবস্থান করবে।


আমাদের সবাইকে জাহান্নম থেকে মুক্তি দেয় যেন আল্লাহ  ,, আমিন

কেমন ছিলেন আমাদের বিশ্ব নবী

 যেমন ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী - রাসুল (সঃ)💜

১/ তিনি দীর্ঘ সময় নীরব থাকতেন।

২/ তিনি কম হাসতেন। 

৩/ তিনি মুচকি হাসতেন, হাসি ওনার ঠোঁটে লেগে থাকতো।

৪/ তিনি অট্রহাসি হাসতেন না

৫/ তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ ত্যাগ করতেন না।

৬/ তিনি শতবার ক্ষমা প্রাথনা করতেন। 

৭/ তিনি কখনোই প্রতিশোধ নিতেন না।

৮/ তিনি যুদ্ধক্ষেএ ছাড়া কাউকেই আঘাত করেননি। 

৯/ তিনি বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তেন।

১০/ তিনি অসুস্থ হলে বসে নামাজ পড়তেন। 

১১/ তিনি শিশুদের সালাম দিতেন। 

১২/ তিনি সমাবেত মহিলাদের সালাম দিতেন। 

১৩/ তিনি শিশুদের পরম স্নেহ করতেন।

১৪/ তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কোমল আচরন করতেন।

১৫/ তিনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। 

১৬/ তিনি ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন।

১৭/ তিনি মিথ্যাকে সার্বাধিক ঘৃনা করতেন।

১৮/ তিনি উপহার গ্রহন করতেন।

১৯/ তিনি সাদকাহ (দান) করতেন।

২০/ তিনি সব সময় আল্লাহ কে স্মরণ করতেন।

/ শরীয়ত বিরোধী কথা হলে তা থেকে বিরত থাকতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন। 

/ আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি নিয়ামত কে কদর করতেন।

/ খাদ্য দ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন না হয় বাদ দিতেন।

/ ক্ষমা কে পছন্দ করতেন।

/ সর্বদা ধৈর্য্য ধারন করতেন।

রাসুল (সা.) এর গুনাবলী বর্ননা করে শেষ করা যাবে না।

/ তিনি আল্লাহ কে সব সময় ভয় করতেন

/ হাতে যা আসতো তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।

/ কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যাক্তি উঠা না পর্যন্ত তিনি উঠতেন না। 

/ বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না।

/ কথা বলার সময় সুস্পষ্ট ভাবে বলতেন যাতে শ্রবনকারী সহজেই বুঝে নিতে পারে। 

/ কথা, কাজ ও লেন- দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না। 

/ নম্রতা কে পছন্দ করতেন।

/ তার নিকট আগত ব্যাক্তিদের অবহেলা করতেন না। 

/ কারো সাথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতেন না।

/ শরীয়ত বিরোধী কথা হলে তা থেকে

#আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে নবী (সা.) এর চরিত্রে চরিএবান হওয়ার #তাওফীক দান করুক।

সবাইকে হেদায়ত দান করুক। 

আমিন💜....

....

... ভালো-লাগলে 

ফ্রেন্ড রিকোষ্ট পাঠাতে পারেন


আর যারা ইসলামিক গল্প বা পোষ্ট পরতে ভালোবাসেন তাদের কে  আমার এই সাইটি তে  ইসলামিক পোষ্ট করা  আছে  ভিজিট করার আমন্ত্রন রইল

   

ধন্যবদ

Friday, 28 August 2020

উহুদ যুদ্ধের ১ টা ঘটনা

 উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে! 

সকল শহীদের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। 

নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নাই ... একজন তাঁর চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন হানজালা (রাঃ)। অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন লাশ খুজার জন্য। ...হটাত বোরকা পরা এক মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির কাছে। নবী তাকে চিনলেন না। -মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ আজকে আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন মনে আছে? নবীজি বলেন; হা আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছি। যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। 

-মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও শুকায় নি। কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল তারপর রাতে উহুদ যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেছে হা্নজালা। বাসর রাতে উনার সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নাই। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছেন "যদি দেখা হয় তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে দেখা হবে জান্নাতে"। 

মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ,, যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্মন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই হানজালা জন্য গোসল ফরজ। 

নবীজি কাঁদতেসেন। মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না, আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন? নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল ইয়া রাসুল্লাহ হানজালা কে পাওয়া গেছে। --- সবাই গেলেন। গিয়ে দেখলেন সাদা কাফনের ভিতর লাশের মাথায় পানি। নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন। জিবরাঈল আসলো! ...এসে বলল; ইয়া রাসুল্লাহ হানজালার কোরবানিতে আল্লাহ্ পাক এতটাই খুশি হয়েছে যে আল্লাহ আমাদের  আদেশ করলেন তাকে নিয়ে আসতে। ...ইয়া রাসুল্লাহ আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি এবং তার শরীরে থেকে যে সুগন্ধ পাচ্ছেন, এটা আল্লাহ্ পাকের বিশেষ খুসবু মিশক আম্বর আতরের ঘ্রাণ । আমরাই উনাকে কাফনের কাপড়ে আচ্ছাদিত করেছি ।......

সুবহানআল্লাহ !!! আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় মানুষকে কি পরিমাণ ভালবাসেন, কি পরিমাণ সম্মানিত করেন তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়।

পরিশেষে বলতে চাই, "হে আল্লাহ্ _ আপনি আমাদেরকে সফল মানুষদের দিনের পথের পথিক হওয়ার তওফিক দান করুন,

Wednesday, 26 August 2020

বিশ্ব নবীর দৃষ্টিতে সেরা ১০ মানুষ কে? কে?

 সেরা ১০


মানুষ


১-(এক) রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়। ’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৫০২৭)।


২-(দুই) রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬০৩৫)।

৩-(তিন) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো। ’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ২৩০৫)।


৪-(চার) রাসূলে করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ২২৬৩/২৪৩২)।


৫-(পাঁচ) রাসূলে করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের কাছে ভালো।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নম্বর : ৪১৭৭)।


৬-(ছয়) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ ও কর্ম ভালো হয়।’ (জামিউল আহাদিস, হাদিস : ১২১০১)। 


 


৭-(সাত) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সর্বোত্তম মানুষ সে, যে মানবতার জন্য অধিক কল্যাণকর ও উপকারী।’ (সহিহুল জামে, হাদিস নম্বর : ৩২৮৯)।


৮-(আট) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে অন্তর স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ৩২৯১)।


৯-(নয়) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ১৯৪৪)।


১০-(দশ) রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে বেশি সুন্দর।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৩৫৫৯)।


নোট --মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর দৃষ্টিতে সেরা মানুষগুলোর গুণাবলীতে পরিপূর্ণ করে দিন।

আর আমাদের এই সাইটি ভিজিট করার অনুরধ রইল

Tuesday, 18 August 2020

চতুষ্পদ জন্তু জড়বস্তু চাবুকের অগ্রভাগ জুতার ফিতা মানুষের সাথে কথা বলবে বাড়িতে কি হচ্ছে উরুর মাংস মানুষকে এর সংবাদ দেবে

 আবু সাঈদ রাতের বেলা থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেন

 ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ নিয়ে তোকে কেয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না চতুষ্পদ জন্তু চাবুকের অগ্রভাগ এবং জুতার ফিতা মানুষের সাথে কথা বলবে 

বাড়িতে পরিবারে কি করছ সেদিন মানুষকে এর সংবাদ দেবে (তিরমিজি) 

নিদর্শনগুলো এখন পর্যন্ত অপ্রকাশিত 

চতুষ্পদ জন্তুর সাথে কথা বলার ঘটনা ঘটেছিল এবং তিনি বলেন মদিনার পাসের এক লোক বেড়া চরাচ্ছিলেন  হঠাত শিয়ালের ওপর অতর্কিত আক্রমন করে একটি ছাগল ছানা ধরে 

বহু চেষ্টা করে সে সিয়াল এর হাত থেকে ছুটিয়ে নেই বেদুইন শিয়ালকে অনেক গালমন্দ করতে থাকে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সে আরেক স্থানে এসে লেজ বিছিয়ে বসে 

বলতে তাকে আল্লাহর দেয়া রিযিক তুমি আমার মুখ থেকে কেড়ে নিয়েছো বেদুইন বলে কি আশ্চর্য কথা বলছে 

শেয়াল বলল এরচেয়ে আশ্চর্য৷ সংবাদ আমার কাছে আছে 

 বেদুইন জিজ্ঞেস করলে কি সেটা শেয়ার করলে উপত্যাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানে আল্লাহ কর্তৃক পূর্বাপর সকল সংবাদ মানুষের কাছে বর্ণনা করছেন 

শিয়ালের কথা শুনে দল নিয়ে মদিনায় চলে আসলো নবীজির ঘরের দরজার সজোরে আঘাত করতে লাগলো তখন নামাজে ছিলেন এবং আমার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন

 রাখালের কথা  ছাড়িয়ে গেলে তাকে বলল যা শুনেছো সবার কাছে বর্ণনা করেন 

শিয়ালের কাহিনী শোনালেন কিয়ামতের নিদর্শন প্রকাশ পাবে ততোখন কেয়ামত  সংঘটিত হবে না 

যতক্ষণ না মানুষ তার ঘর থেকে বের হবে জুতার ফিতা চাবুক লাঠি তাকে সংবাদ দেবে যে তার ঘরে  তার অনুপস্থিতিতে পরিবার কি করছে

ইসলাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কাগজের পাতা এবং মানুষের অন্তর থেকে কোরআন উঠিয়ে নেয়া

 কেয়ামত ঘনিয়ে আসার প্রসিদ্ধ নিদর্শন হচ্ছে ইসলামের জন্ম হয়েছে বা অধিক বেদনার কবলে পড়ে দ্বীনি শিক্ষা শিক্ষার বিলুপ্তি ঘটবে। 

কেউই নামাজ পড়বেন রোজা রাখবেন না মানুষের অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে অভিব্যক্তি বাপ-দাদাকে আমরা লা ইলাহা পড়তে  শুনেছি তাই আমরাও পড়ি। 

নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেন অধিক পুরাতন হওয়ার ফলে কাপড়ের রং যেমন মিটে যায় তেমনি ইসলাম একসময় মিটে যাবে।

 নামাজ কি? রোজা কি? হজ্জ কি কেউ জানবে না এক রাত্রিতে কোরআন উঠিয়ে নেয়া হবে 

কোন আয়াত পৃথিবীতে থাকবে না বায়ো বৃদ্ধি মুষ্টিমেয় কিছু মুসলমান বাকি থাকবে বলবে বাপ তাদেরকে আমরা লা ইলাহা পড়তেছে তাই আমরাও বলছি

মুমিনের রুহ কবজ আবর্তে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুবাস পেরন

 দারজালের মৃত্যু পর ইসা আঃ এর মৃত্যু সকল বৃহৎ নিদর্শন প্রকাশের পর 

কেয়ামত অতি সন্নিকটে মুমিনদেরকে কিয়ামত ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহপাক একপ্রকার সুবস্ক্রিবে করবেন 

 সাথে সাথে সকল মুমিন শান্তিদায়ক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে অন্তপুর সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিদের ওপর মহাপ্রলয় আবর্তিত হবে 

 নবী করীম সা বলেন একদা নুরুল ইসলাম দাজ্জাল ও তৎপরবর্তী নির্দেশ বলে আলোচনা করলেন অতঃপর আল্লাহ এক প্রকার সুভাষ প্রেরণ করবেন 

তাতে সকল মুমিনের রুহ কবজ করে নেবে অন্ত পৃথিবীতে শুধু সর্বনিকৃষ্ট পথে-ঘাটে ব্যভিচারের অভ্যান্তরে লোকেরা বেঁচে থাকবে তাদের উপরে অবস্থিত হবে (বুখারী -মুসলিম) 

আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করীম সাঃ বলেন অন্তরের দিক থেকে আলোয় প্রকাশিত হবে অণু পরিমাণ ঈমান ব্যক্তিকে প্রাণ প্রাণ কেড়ে নেবে 

তোমাদের কেউ যদি সেদিন পাহাড়ের গুহায় অবস্থান করে তবে শীতে কেন তাদের খুঁজে বের করে ঢুকে পড়ে নেবে (মুসলিম)

দারজালের ঘাতত ঈসা ( আঃ)

 মাজমা বিন জারারা রাঃ থেকে বর্ণিত 

নবীকরীম সঃ বলেম - 

ঈসা আঃ দাজ্জালকে লুদ শহরের প্রধান ফটকের কাছে হত্যা করবে (তিরমিজি) 

আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত নবী করীম সা ইসলাম বলেন মুসলমান তখন যুদ্ধের জন্য কাতারবন্দী করতে থাকবে এমন সময় ফজরের জামাত ইসলাম অবতরণ করবেন।

 অপর বর্ণনায় পূর্বপ্রান্তের সাদা রঙের চাদরে আবৃত হয়ে দুজ ফেরেসতার কাধে ভর করে অবতরণ করবেন

 মাথা নিচু করলে টপটপ পানি পড়বে আবার উচু করলে কেষ্ট দৃশ্যমান হবে 

ঈসা আঃ কাফেরদের  দিকে তাকানো মাএ কাফেরদের  শরীর পনিতে লবনের মতো গলে জাবে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে


মুসলমানগন ফজরের নামাজের প্রস্তুতি নিবেন সেনাপতি ইমাম মাহাদী নামাজের ইমামতির জন্য সামনে এগিয়ে যাবেন এমন সময় ঈসা নবীর অবতরণ হবে 

ঈসা আ; কে দেখে ইমাম মাহাদী পেছন ফিরে আসতে চাইলে বলবেন তুমি নামাজ নামাজ পড়াও নামাজ শেষে বলবেন দরজা খুলে পেছনের দরজা 

এবং 70 হাজার ইহুদি অত্যাধিক রং সাজে সজ্জিত থাকবে ঈসা আঃ কে  দেখামাত্র দারজালের দলের লোকেরা পানিতে লবণের নয় গলে যাবে পালনের উদ্দেশ্যে

 ঈসা তার পিছু ধাওয়া করে এলাকায় প্রধান ফটকের কাছে তাকে পেয়ে যাবেন সেখানেই তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন।

 ফিরে এসে তিনি  চুরি তে লেগে থাকা দারজালের রক্ত মুসলমানদের দেখাবে 

এবং দাজ্জাল দলের লোক দেরকে  ধাওয়া করবে প্রতিটি বস্তু সেদিন মুসলমানকে বলবে 

 আমার পিছনে এক ইহুদী  আত্মগোপন করে আছে তাকো হত্য করো 

মুসলমানরা তাদেরকে হত্য করবে। 

ঈসা আঃ  মুসলমানদের কে জান্নাতের সুসংবাদ দেবেন 

আল্লাহ ঈসা আঃ কে বলবে  দুনিয়াতে জাতি প্রকাশ করতে যাচ্ছি যাদের মোকাবিলা করার শক্তি তোমার নেই সুতরাং মুমিনদেরকে নিয়ে তুমি চলে যাও

এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসবে ইনশাল্লাহ

দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তির উপায়

 ১-মুখোমুখি অবস্থান থেকে দূরে থাকা

ইমরান বিন হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন দাজ্জালের আগমন সংবাদ পেলে তোমরা দূরে পালিয়ে যেও. 

কারণ নিজেকে মমিন ভেবে অনেক মানুষ তার মুখোমুখি হবে কিন্তু অলৌকিক কর্মকাণ্ড গুলো দেখে অসহায়ের মতো তাকে অনুসরণ করবে (আবু দাউদ)

অর্থাৎ সব সময় দূরে অবস্থান করতে হবে নিজেকে সাহসী ভাবে কাছে যাওয়ার দুসাহস করা যাবে না 

 নবী করীম সা ছিলাম বলেন দারজালের ভয়ে মানুষ দূর পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেবে (মুসলিম) 

দারজালের সময় ইমাম মাহাদী থাকবেন তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকবেন।


উপায় 2 আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা **

আবু উমামা বাহিনীরা দল থেকে বর্ণিত নবী করীম সা ইসলাম বলেন দাজ্জাের ফিতনা থেকে বাচার  জন্য আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে (ইবনে মাজা) 

উপায় 3 আল্লাহর সিফাতী নাম সহ মুখস্ত করা**

 দারজাল কানা হবে অথচ আল্লাহু আকবর আল্লাহ পাক সকল ত্রুটি থেকে মুক্ত পবিত্র 

উপায় ৪

সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুখস্ত করে নিয়মিত পাঠ করা। 

আবুতারা থেকে বর্ণিত নবী করীম সা সালাম বলেন যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুক্তি করেছে দারজাল থেকে রক্ষা পেয়ে গেল (মুসলিম) 

উপায় 5 সূরা কাহাফ তেলাওয়াত অভ্যাস গড়ে তোলা


যে ব্যক্তি নির্ভুলভাবে সূরা পাঠ করলে তাকে সামনে পেলে কোন ক্ষতি করতে পারবেন না। 

উপায় 6 হারামাইন তথা মক্কা-মদিনা আশ্রয় নেওয়া। 

উপায় 7 নামাজের শেষ বৈঠকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া পড়া তাশাহুদ সালামের পূর্বকনে হাদীস নিম্নে বর্ণিত দোয়া পড়া।

 দারজালের খবর বেশি বেশি প্রচার করা 


বর্ণিত নবী করীম সা ইসলাম বলেন তার যতক্ষণ বের হবে না যতক্ষণ না মানুষ তার আলোচনা ভুলে যায় অর্থাৎ কেউ তখন তার যাবে আলোচনা করবে না  তখন বের হবে দাজ্জাল 

উপায় 7 শরীয়তের জ্ঞানকেই একমাত্র মুক্তির উপায় মনে করে। 

একজন মুমিনের জন্য শরীয়তের জ্ঞানীর কাজ ফেতনা হতে বাচার রক্ষাকবজ হাদিসে এমন একজন জ্ঞানী যুবকের দরজালের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্য ভূমিকা রয়েছে। 

আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত নবী করীম সা ইসলাম বলেন মদিনা ঢুকতে না পেরে তার চারপাশের মরুভূমিতে অবতরণ করবেন। 

মদিনার এক উৎকৃষ্ট যুবক তখন দরজায় মোকাবেলায় এগিয়ে যাবে বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তুই হচ্ছিস দারজাল যার ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাহু সালাম আমাদের সতর্ক করে গেছেন। 

দারজালের অনুসারীদের লক্ষ্য করে বলবে আমি যদি একে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করে দেই তবে তবে কি তোমরা আমার ব্যাপারে সন্দেহ করবে সবাই একবাক্যে বলবে না। 

অন্তপর দাজ্জাল তাকে   হত্যা করে অপর বর্ণনায় তাকে করাত দিয়ে আঘাত করে দুটুকরো করে দিবে পরে তাকে জীবিত হতে বললেন হাসিমুখে আল্লাহু আকবার বলে জীবিত হয়ে যাবে। 

যুবক বলবে এবার তো আমার বিষয়ে আরও দূড় হয়ে গেল যে তুই দরজার। 

অপর বণর্না এক জন বের হয়ে এল একজন মুমিন তার মুখোমুখি হতে চাইবে আর যা বলবে কোথায় যাচ্ছ বলবে এই অসভ্য টার দিকে যাচ্ছি 

দাজ্জাল বলবে তুমি  কি আমাদের পালনকর্তা বিশ্বাস করানো যুবক বলবে আমাদের পালনকর্তা মধ্যে কোন ত্রুটি নেই। লোকেরা তখন তাকে হত্যা করেবে না বলবে 

আমাদের প্রভু তাকে হত্যা করবে এ কথা বলে তাকে দারজেল কাছে নিয়ে যাওয়া হবে দাজ্জাল কে দেখেছে বলবে বলতে থাকলো সকলের দাবি করেছেন। 

তখন তাকে তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো নি তুই হচ্ছিস আর মৃত্যুর কথা শুনে তার দুই টুকরা করে দেবে তার কথিত অংশগ্রহণের মাঝে দিয়ে হেঁটে দাঁড়িয়ে জাবে 

ওই লোক সকল আমার মরার পর আর কাউকে এসে জীবিত করতে পারবেনা 

অন্তপর দাজ্জাল তাকে ধরে জবাই করতে চাইলে আল্লাহ আল্লাহ পাক যুক্তির অন্তর থেকে পর্যন্ত বানিয়ে দিবেন বলেন তাকে কিছুই করতে পারবে না 

শেষ হয় তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে দেবে মানুষ মনে করবে সে জাহান্নামী কিন্তু বাস্তবে তা কে জান্নাতে নিক্ষেপ করা হয়েছে অন্তত ইসলাম বলেন এই যুদ্ধে শহীদের মর্যাদা পাবে (মুসলিম)

দারজালের চারটি বড় বড় ফেতনা

 হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রচনা থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তার জলসাতে সচিত্র জান্নাত-জাহান্নাম থাকবে সুতরাং তার জাহান্নাম হবে প্রকৃত জান্নাত এবং তার জান্নাত হবে। প্রকৃত জাহান্নাম( মুসলিম) 

অপর বর্ণনায় দারজালের সাথে পানি এবং আগুন থাকবে সুতরাং তার পানে হবে প্রকৃত আগুন এবং তার আগুন হবে প্রকৃত ঠান্ডা পানি( মুসলিম বুখারী)

আরো বলেন আমি ভালো করেই জানি দারজালের সাথে একই থাকবে তার সাথে দুটি নতে দেখতে একটি সাদা পানি এবং 

অপরটি জ্বলন্ত আগুনের মতো মনে হবে ও তোমরা যদি তা যাকে পেয়েছো তার আগুনে ঝাঁপ দিয়ে দাও (মুসলিম)


নবী করীম সালালের সাল্লাম বলেন তার সালে একদল লোকের সাথে লোকের কাছে এসে প্রভুত্বের দাবি করবে লোকেরা তার দাবি মেনে নিলে দারজাল 

আসমানকে বৃষ্টি দিতে বললে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করবে যখন ফসল দিতে বলবে জমির ফসল উদ্দক্ত করবে। 

তাদের গবাদিপশুর বিচরণভূমি থেকে মোটাতাজা এবং পূর্ণ হয়ে ফিরবে অন্তরের কাছে এসে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তাদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করে তখন মৌমাছির মতো রত্নভাণ্ডার বের হয়ে আসবে (মুসলিম) 


দারজাল বেদুইনের কাছে এসে বলে বেদুইন আমি যদি তোমার মৃত পিতা মাতাকে জীবিত করে দিই তবে  আমাকে রব বলে মেনে নিতে তোমার কোন আপত্তি থাকবে। 

বেদুইন বলবেন না অন্তত দুজন শয়তান তার পিতামাতার আকৃতি ধারণ করে তাকে বলবে ওহে বৎস অনুসরণ করো সে প্রভু( মুস্তাদরাক হাকেম)


দারজাল এক তরুণকে ডেকে এনে তরবারির দিয়ে দুই টুকরা করে দেবে মানুষকে বলবে ও হে লোকসকল দেখো। 

আমি এই হতভাগা বান্দাকে আমি মরন দিয়েছি আবার জীবিত করে দেবো অন্তর সে মনে করবে আমি তার প্রভুর। 

জীবিত হয়ে দাঁড়াবার জন্য আল্লাহ তাকে জীবিত করেছেন ।

দারজাল বলবে তোমার প্রভু কে 

তরুণ বলবে আমার প্রভু আল্লাহ আর তুই হচ্ছিস আল্লাহর শত্রু দরজাল



দারজালের ভ্রমণ গতি

 নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে দরজার এর গতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বাতাসে তাড়িত মেঘমালা ন্যয় (মুসলিম)

দারজাল বিশ্বের প্রতিটি শহরে

প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছবে নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেন দিনের দুরবস্থা এবং চরম মূর্খতা যুগে দারজেল আত্মপ্রকাশ করবে। 

পৃথিবীতে তার অবস্থান মেয়াদ হবে 40 দিন প্রথম দিন এক বছর দ্বিতীয় দিন এক মাস তৃতীয় দিনে এক সপ্তাহ এবং অবশিষ্ট 37 দিন দিন গুলো স্বাভাবিক দিনের মতো হবে। 

দুই কানের মাঝে 40 গজ এর ব্যবধান গাধার সাথে মানুষের মানুষের কাছে এসে সে বলবে আমি তোমাদের পালনকর্তা। 

অথচ আল্লাহ কানার নন তাঁর দুই চোখের মাঝে কাফের লেখা থাকবে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল মুমিন সেটি পড়তে  পারবে। 

মক্কা-মদিনা ছাড়া প্রতিটি শহরে প্রান্তর এসে পৌঁছবে মক্কা-মদিনা প্রতিটি দরজা আল্লাহ পাক  সময়ে উপযুক্ত করবেন (মুসনাদে আহমদ)


যে সকল স্থানের দরজালের আগমন ঘটবে****


আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন মক্কা-মদিনা ব্যতীত পৃথিবীর এমন কোন শহরে যেখানে দারজাল গিয়ে পৌঁছবে না (বুখারী মুসলিম) 

অপর বর্ণনায় মদিনার দরজায় সবসময় ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে এবং মদীনা প্রবেশ করতে পারে না। 

মদিনার উদ্দেশ্যে পূর্ব দিক থেকে দাজ্জালের অবস্থান নেবে উহুদ পর্বতের চূড়ায় উঠে মসজিদের দিকে তাকিয়ে অনুসারীদের বলবে। 

তোমরা কি দেখতে পাচ্ছো অর্থাৎ মসজিদে নববী ফেরেশতারা তার চেহারার দিকে ঘুরিয়ে দেবেন সেখানে তার বিনাশ ঘটবে( মুসলিম)

দাজ্জালের আবির্ভাব কিছু প্রাসঙ্গিক লক্ষণ,

 আরব জাতির রাস ***

উম্মে শারিফ থেকে বর্ণিত তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বলতে শুনেছে দারজালের ভয় মানুষ দূর পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেবে। 

জিজ্ঞেস করলাম আরব জাতি সেদিন কোথায় থাকবে আল্লাহর রাসূল নবীজী বললেন তারা তো সেদিন যৎসামান্য।


বিশ্বযুদ্ধ এবং কনস্টেবল বিজয় ***


মুয়াজ বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত নবী করিম সল্লালাহ সাল্লাম বলেন জেরুজালেমে স্থাপিত গড়ে ওঠা।

 মদিনা বিনাশের নিদর্শন মদিনার বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বিশ্বযুদ্ধের সূচনা মানে কনস্টেবল বিজয়। 

কনস্টেবল বিজয় মানে দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

বৃষ্টি এবং ফসল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া**

দারজালের প্রকাশ পূর্বে তিনটি তিনটি বছর মহাদুর্ভিক্ষ পূর্ণ হবে 

আবু উমামা বাহিনীরা দল থেকে বর্ণিত -

নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন দাজ্জালের পূর্বে তিনটি মহাদুর্ভিক্ষ বছর অতিবাহিত হবে প্রাথমিক সকল খাদ্য পোখরান ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষ প্রচন্ড খাদ্য অভাবে পড়ে যাবে। 

প্রথম বছর আল্লাহ আসমান কে এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে এক-তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ দেবেন। 

দ্বিতীয় বছর আসমানকে দুই-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে দুই-তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। 

তৃতীয় বছর আল্লাহপাক আসমানকে সম্পূর্ণ বৃষ্টি এবং জমিনকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন বৃষ্টি বর্ষিত হবে না একটি সংস্কৃত হবে না। 

আল্লাহ ছাড়া সকল বস্তু ধ্বংসের মুখে পড়েন শেষ হয়ে যাবে অর্থাৎ গাছপালা এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে সেদিন তাহলে আমানুষ কি খেয়ে জীবন ধারণ করবে। 

আল্লাহর রসূল উত্তর প্রশ্নের উত্তরের নবীজী বলেন তাকবীর আল্লাহু আকবার পাঠ এবং আহমেদ আলহামদুলিল্লাহ  পাঠ করলে পাকস্তলিতে খাদ্য দিয়ে দেবেন ( ইবনে মাজাহ)


দাজ্জালের ফিতনা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ববৃহৎ শু পরিসর ফেতনা

 ইমরান বিন হোসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলে আদম আলাই সাল্লাম থেকে থেকে কেয়ামত অব্দি দাজ্জালের ফেতনা অপেক্ষাকৃত বৃহৎ- সুপরিসর ফেতনা আর দ্বিতীয় টি হবে না 

ইবনে ওমর রাজেলা তাকে বর্ণিত তিনি বলেন একজন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম মানুষের মাঝে ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন প্রথমে আল্লাহর যথাযথ প্রসংশা করলে অন্তত কিছু আলোচনা করতে গিয়ে বললেন আমার পূর্বে যত নবী পৃথিবীতে এসেছে সবাই এ সম্পর্ক করেছে আমিও তোমাদের সতর্ক করছি যাতে তোমরা দারজালের সম্পর্কে তোমাদের এমন তথ্য দিচ্ছি যা ইতিপূর্বে কোন নবী দেইনিমনে রেখো দারজাল কানা হবে কিন্তু আল্লাহপাক কানা নন 

নবীকরণ শুনেছিলাম আরো বলেন তার জল ছাড়া আরও একটি বিষয় আমি তোমাদের ওপর প্রতি সংকৃত তবে। 

দারজাল যদি আমার বর্তমানে বের হয় তবে তোমাদের হয় আমি তার মোকাবেলা করবো আমার পর যদি বের হয়। 

তবে প্রতিটি মুমিন নিজেই তার মোকাবেলা করবে প্রতিটি মুমিনদের জন্য আল্লাহকে আমি প্রতিনিধি বানিয়ে গেলাম।


দারজালের প্রকাশ স্থল***


আবু বকর রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন

 নিশ্চয় দারজাল প্রাচ্যের এলাকা থেকে আত্মপ্রকাশ করবে স্থুল  বর্ম  চেহারায় কিছু প্রজাতির তার অনুসারী হবে

(তিরমিজি) 

দারজালের প্রাথমিক প্রকাশ ও প্রসিদ্ধ আল্লাহ ভাল জানেন সাম ইরাকের মধ্যবর্তী কোন স্থান থেকে হবে না 

নবী করীম সাল্লাহু সালাম বলেন সে দাজ্জাল এবং ইরাকের মধ্যে এক সড়ক থেকে আত্মপ্রকাশ করবে।


কোরআনে কেন দরজালের আলোচনা আসেনি

 নবী করীম সাল্লাহু সালাম সবচেয়ে বেশি যে ফেতনা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন তা হচ্ছে দজ্জালের ফিতনা আর তাই প্রত্যেক

 নামাযের শেষে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য সাহায্যের দোয়া শিখিয়েছেন কোরআনের কিছু নিদর্শন 

এর উদ্দেশ্যে এসেছে এ কিছু অনুলেখক রয়েছে যেমন চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ এভাবে বলেছেন মহা প্রলয় কাটিয়ে গেছে চন্দ্র বিদ্দিন গেছে

( সূরা ক্বামার 1)

কয়েকভাবে এর উত্তর দেয়া হয়েছে***

কোরআনে পরোক্ষভাবে এর উত্তর এসেছে আল্লাহ পাক বলেন যেদিন আপনার পালনকর্তা কোন নিদর্শন আসবে সেদিন এমন কোন ব্যক্তির বিশ্বাস স্থাপন তার জন্য ফরজ হবে না 

যে পূর্বে থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা শীঘ্রই বিশ্বাস অনুযায়ী কোন সৎকর্ম করে নিয়ে-( সূরা আনআম 158) 

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন -তিনটি নিদর্শন প্রকাশ হয়ে গেলে ব্যক্তির ঈমান কোন উপকারে আসবে না 

যতক্ষণ না সে পূর্বে থেকে ঈমান এনে সৎকর্ম জমা থাকে এক অদ্ভুত প্রাণী পশ্চিম দিগন্তে প্রভাতের সূর্যোদয়।

ইসাবিন মরিয়ম আলাই সালাম অবতরণের কথা কোরআনে পরোক্ষভাবে এসেছে আল্লাহ পাক বলেন আর তা আহলে কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণীর রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে তার ওপর তার মৃত্যুর পূর্বে (সূরা নিসা 159)

অন্যখানে আল্লাহ বলেন যখনই মরিয়ম তনয় দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল তখন আপনার সম্প্রদায়ের হট্টগোল শুরু করে দিল 

এবং বলল আমাদের উপরস্থ না আসে তারা আপনাদের সামনে যে উদাহরণ স্থাপন করে তা কেবল বিতর্কে জন্যই করে বস্তুতঃ তারা হল এক বিতর্ককারী সম্প্রদায় বটে 

আমি তার প্রতি অনুগ্রহ করছে এবং তাকে করছি বনি ইসরাইলের জন্য আদর্শ আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের থেকে ফেরেশতা সৃষ্টি করতাম যারা পৃথিবীতে বসবাস করত

 সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন কাজেই তোমরা কেয়ামতের কেয়ামতের সন্দেহ করো না( সূরা যুখরুফ 57-61)

আরে কথা স্বতঃসিদ্ধ যে দারজাল হত্যার জন্য ইশা আমার সালাম আসমানে অবতরণ করবে 

সুতরাং পরস্পর বিপরীতমুখী একটা উল্লেখ এর মাধ্যমে অপরজন শেষ হয়ে জাবে 


নবী করীম সাল্লাহু সালাম এর জামানা একটি ঘটনা

 নবী-যুগে মদিনায় এক ইহুদী পুত্র ছিল নাম ইবনে সাইয়াদ 

তার অলৌকিক কর্মকান্ডগুলো খবর শুনে নবীজি তাকে দারজাল সন্দেহ করেছিলেন 

আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত - একদা ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা কে সাথে নিয়ে সাথে  নবীজি ইবনে সাইয়াদ এর খবর নেওয়ার জন্য গমন করলেন। 

গিয়ে দেখেন সে ছোট্ট বালকের সাথে বনি মুগালার দুর্গের কাছে খেলাধুলা করছে। 

সে সময় তাদের বয়স 15 অজান্তে পেছনে গিয়ে নবীজি তার পিঠে মৃত আঘাত করলেন।

ইবনে সাহেবকে নবীজী বললেন -তুমি কি মানুষ যে আমি হলাম আল্লাহর রাসূল

ইবনে সাইয়াদ নবীজির দিকে তাকিয়ে বলল -আমি আপনাকে মূর্খদের নবী মনে করি! 

অন্তর ছুয়ে পাল্টা নবীজীকে বলতে লাগলো -আপনি কি মানেন যে আমি আল্লাহ রাসুল! 

নবীজি প্রত্যাখ্যানের সুরে বললেন -আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনলাম বললেন স্বপ্নেতে কি দেখিস

সে বললো -কখনো সত্যবাদীর আবার কখনো মিথ্যাবাদী দেখি

নবীজী বললেন -তোর বিষয়টিতো গড়বড় মনে হচ্ছে আছো অন্তরে তোর জন্য একটি কথা লুকিয়ে রেখেছি বলতো সেটা কি?

ইবনে সাদ বলল -ধোয়া

নবীজী বললেন -দুর হ নির্ধারিত সময়ের আগে তুই কিছুই করতে পারবি না

উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে ওমর (রা) বললেন-

 হে আল্লাহর রসূল অনুমতি দেন এক্ষুনি তার মাথা নামিয়ে দেই।

নবীজি বল্লেন -সেই যদি প্রকৃত দারজাল হয় তবে তোমার নয় সে ইশা বিন  মরিয়ম এর হাতে নিহত হবে 

আর যদি দরজাল না হয় তবে আত্মহত্যা করেই বা লাভ কি মুসলিম।


দাজ্জাল

 কে এই দাজ্জাল***

সে আদম সন্তানের একজন মুমিনদের জন্য পরীক্ষার জন্য আল্লাহপাক তাকে অলৌকিক কিছু বৈশিষ্ট্য দেবেন।

তার দৈহিক দয়াকরে চরিত্রগত গুণাবলী বর্ণনা করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু কে তার থেকে বেঁচে থাকার আদেশ করেছেন।

মশিউর দরজার নামকরণ***

আরবি মসীহ শব্দের অর্থ বিকৃতি করে দেয়া হয়েছে মুছে দেয়া হয়েছে এবং তার বাম চোখ কটি বিকৃতি ও মসজিদে হবে

 কানা সবকিছুই এক চোখে দেখবে অনেক বলেছেন যে সব সঠিক শব্দটি আসলে মাসীহ আরবিতে (মিম, সিন, হা,-) 

শব্দের আদি অর্থ হচ্ছে ঘুরাফেরা করা ভ্রমণ করা হিসেবে অনেকেই বলেছেন যে দাজ্জাল যেহেতু সারা বিশ্ব ভ্রমণ করবে তাই তাকে বলা হয়ে থাকে 

কেউ কেউ বলেছেন যে তার চেহারায় এক পাশের ভ্রু ও চক্ষু বিহীন হবে অপরদিকে দারজাল 

 আরবি শব্দের দাজ্জাল থেকে যার অর্থ সত্য ঢেকে দেওয়া ছন্দ আবরণে লুকিয়ে রাখা প্রতারিত করা মিথ্যা বলা ইত্যাদি তর্জান শব্দের প্রতিশব্দ হচ্ছে মহা মিথ্যুক।

দারজাল কিসের দাবি করবে***

মহা দুর্ভিক্ষের কালে দারজাল খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এসে বলবে আমি হচ্ছি সমস্ত জগতের পালনকর্তা হে লোক সকল তোমরা আমার প্রতি ঈমান আনো 

আমি তোমাদের খাদ্য ও পানীয় দেবো সম্পাদক দেবো নবী করিম সঃ ইসলামের বলেছেন 

স্মরণযোগ্য দারজাল কিন্তু এক চোখ কানা হবে আর তোমাদের পালনকর্তা কানন (বুখারী)


ইমাম মাহদীর প্রকাশস্থল

 ইমাম মাহাদির প্রকাশস্থল***

প্রাচ্য থেকে আত্মপ্রকাশ করবেন।

 একা নয় প্রাচ্যের একজন নিষ্ঠাবান মুজাহিদ ও তার সাথে থাকবেন। 

দিনের ঝান্ডা বুকে নিয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে।

মুসলিম বিশ্বে অধিক সংঘাত কালে তিনি খলিফা সন্তান কাবাঘরের কর্তৃত্ব নিয়ে যুদ্ধ লেগে যাবে। 

কেউ সফল হবে না তখনই মক্কা ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে দ্রুত মানুষের মাঝে সংবাদ ছড়িয়ে পড়বে। 

সকলে কাবা ঘরের সামনে তার হাতে বায়াত গ্রহণ করবে। 

সাওবান রাদিআল্লাহু তা'য়ালা থেকে বর্ণিত- নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন তোমাদের রত্নভাণ্ডারের কাছে তিনজন খলিফা সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে 

কেউই দখলের সফল হবে না প্রাচ্য থেকে তখন একদল কালো জামদানি বাহিরে লোকের আবির্ভাব হবে। 

তারা এসে তোমাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করবে সাবান বলে অন্তপ্রাণ নবীজি কি যেন বললেন আমরা আমার ঠিক স্মরণ নেই 

নবীজী বলেন যখন তোমরা তা দেখতে পাবে তখন তার কাছে এসে বায়াত হয়ে যেও যদিও তা করতে তোমাদের হামাগুড়ি দিয়ে বরফের পাহাড় পাড়ি দিতে হয়।

আরো যে সকল হাদীস মহাদেব প্রতিপক্ষ ইঙ্গিত করে***


জাবের (রাঃ)থেকে বর্ণিত -নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন 

অচিরেই খাদ্য দ্রব্য ও রৌপ্য মুদ্রা সরবরাহ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। 

আমরা বললাম কাদের পক্ষ থেকে এরকম করা হবে উত্তরে বললেন অনারব অন্তপর বললেন অচিরেই সমাজের কাছে খাদ্যদ্রব্য ও স্বর্ণমুদ্রা সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। 

কাদের পক্ষ থেকে করা হবে প্রশ্নের উত্তরে বললেন -রোমান খ্রিষ্টান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন আমার। 

শেষ উম্মতের মাঝে একজন খলিফার আবির্ভাব ঘটবে বেহিসাব মানুষের মাঝে সে সম্পদ বিলি করবে।


উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা জেলা থেকে বর্ণিত এভিতার নবী করিম সল্লালাহ সাল্লাম এর অবস্থায় কেমন যেন করছিলেন 

জাগ্রত হওয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম এমন করছিলেন কেন হে আল্লাহর রাসূল বললেন খুবই আশ্চর্যের বিষয় আমার উম্মতের কিছু লোক কাবা ঘরে আশ্রিত ক্রস ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে রওনা হবে বাইরে প্রান্তরে পৌঁছামাত্র সবাইকে মাটির নিচে ধ্বসে দেওয়া হবে 

আমরা বললাম পথে তো অনেক মানুষের সমাগম থাকে দর্শক অপারগ এবং পথিক সকলকে একত্রিত হতে দেয়া হবে তবে অন্তরিক সহজে আল্লাহ পাক তাদের পুনরুত্থান করবেন 

অর্থাৎ মাহাদী কে হত্যা করতে আসছে নামধারী মুসলিম বাহিনীকে আল বায়দা প্রান্তরে ধ্বসে দেবেন। 

তবে রোজ হাসরের নিয়ত অনুযায়ী সবাইকে উঠানো হবে সৎ নিয়তে দরুন কেউ জান্নাতে যাবে অসৎ নিয়তে কেউ জাহান্নামে যাবে


জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত -নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন আমার উম্মতের একদল মুজাহিদ কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুদের উপর বিজয়ী থাকবে 

এ পর্যায়ে মরিয়ম ও ঈসা আসমান হতে অবতরণ করলে তাদের সেনাপতি বলবে আসর নামাজের ইমামতি করেন,

 না তোমাদের তোমাদের একজন অপরজনের নেতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এ এক বিরাট সম্মান। 

উল্লেখ্য মাহাদির পেছনে ঈসা আলাই সালাম নামাজ পড়ছেন বলে মাহাদির শেষ হয়ে যায়নি মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তে 

নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম ও আবু বকর রাঃ পিছনে নামাজ পড়েছেন 

আব্দুর রহমান বিন এর পেছনে নামাজ পড়ছেন একজন সদস্যের পেছনে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন

 যে শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শের অনুসারী হিসেবে তিনি পৃথিবীতে এসেছে নবী হিসেবে নয় 

নামাজ সেনাপতির দায়িত্ব নেবেন আর একজন সদস্য হয়ে যাবেন।


ইমাম মাহদীর বৈশিষ্ট্য

 ইমাম মাহাদির বৈশিষ্ট্য***

আবু সাঈদ রাদিআল্লাহু তা'য়ালা থেকে বর্ণিত -

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মাহাদী আমার বংশধর উজ্জ্বল ললাট নত নাশিকা বিশিষ্ট ন্যায়-নিষ্ঠার পৃথিবী ভরে দেবে ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অত্যাচার আবির্ভাব বেড়ে গিয়েছিল সাত বছর রাজত্ব করবেন।

হাসান বংশী হওয়ার রহস্য***

পিতা আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা এর শাহাদাতের পর হাসান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা যখন খোলিফা হয় তখন মুসলিম বিশ্বের খলিফা দুজন হয়ে গিয়েছিল 

১- ইরাকে হাসান রাধে হতা আলা

২- সাম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে মুয়াবিয়া বিন আবি সুফিয়ান রাদি আল্লাহ তালা 6 মাস শাসন কার্য পরিচালনার পর প্রথম 

কোন উদ্দেশ্যে  ছাড়া ই হাসান রাজি আল্লাহ তালা সম্পূর্ণ খিলাফাত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা কে দিয়েছিলেন যাতে এক শাসকের অধীনে মুসলিম 

একতাবদ্ধ হয়ে যায় মুমিনদের পারস্পরিক রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায় হাদিসে আছে 

(আল্লাহর জন্য যে ব্যক্তি কোনকিছু ত্যাগ করল আল্লাহ তাকে এবং তার বংশধর এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করবেন)


ইমাম মাহাদির রাজত্বকাল***

সাত বছর তিনি মুসলিমদের নেতৃত্ব দেবেন ন্যায়-নিষ্ঠার পৃথিবী ভরে দেবেন 

ঠিক যেমন পূর্বে অন্যায়-অবিচার ভরে গিয়েছিল কার রাজত্বকালে মুসলিম বিশ্ব সুখ-স্বাচ্ছন্দ পূর্ণ হয়ে উঠবে

 ভূপৃষ্ঠে সফল করছি তখনই সংবাদ প্রকাশ করে দেবে আকাশ ফসল ভরা বৃষ্টি বর্ষণ করবে  বে হিসাবি মানুষের মাঝে তিনি ধন সম্পদ বণ্টন করবেন


ইমাম মাহদীর আবির্ভাব

 শেষ জমানায় ফেতনা আধিক্য ঘটবে অন্যায়-অত্যাচার মানুষের স্বভাবে পরিণত হবে দুর্বল সবলকে গ্রাস করে নেবে,

 সমাজে অনিষ্ট ব্যাক্তিদের কর্তৃত্ব থাকবে। এইতো দোস্ত মুমিনগণ প্রভাবের নতুন ছবির আশায় বুক বেধে থাকবেন। যা জুলুম-অত্যাচার সকল আঁধারকে ভেদ করে প্রতিটি মুসলিমের ঘরে গিয়ে পৌঁছবে। 

মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ইমাম মাহদীর মাধ্যমে আল্লাহ পাক মুসলমানদের একতা পুনরায় ফিরিয়ে দেবেন। আবারো মুসলমান এক কালেমার পতাকা তুলে জড়ো হয়ে বিশ্ব শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হবে।

 বিশ্বজুড়ে ইসলামের জয়গান বেজে উঠবে নাম ও পরিচিতি মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল হাসানী বংশ পরস্পরায় হাসান বিন আলী রাদিয়াল্লাহু তালা পর্যন্ত পৌঁছাবে। 

ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা থেকে বর্ণিত- নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- পৃথিবীর যদি একটি মাত্র দিন অবশিষ্ট থাকে

 তবে সেই দিনটিকে আল্লাহর দীর্ঘ করে আমার পরিবার বড় একজন ব্যক্তিকে পেরন করে ছাড়বেন তার নাম আমার নাম তার পিতার নামঃ আমার পিতার নাম সাদৃশ্য হবে(তিরমিজি/ আবু দাউদ)

প্রকাশের নেপথ***


শেষ জামানায় সংঘাত যখন ব্যাপক আকার ধারণ করবে অবিচার যখন স্বভাবে রূপান্তরিত হবে ন্যায়-নিষ্ঠার সোনার হরিণে পরিণত হবে। 

মুসলিম সমাজে অশ্লীলতা বেহায়াপনা ব্যভিচার ও পাপাচার বেড়ে যাবে ঠিক তখনই আল্লাহপাক একজন সৎ নিষ্ঠাবান ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটাবেন। 

তার হাতে আল্লাহ উম্মাতে মুহাম্মদ কে পুনঃসংশোধন করবেন আহলে সুন্নাত মুসলমানদের কাছে তিনি ইমাম মাহাদী নামে পরিচিত হবেন। 

ইসলামের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে একদল নিষ্ঠাবান মদে মুজাহিদ তার সহযোগী হবেন শত্রুদের বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধে তিনি মমিন মুজাহিদদের নেতৃত্ব দেবেন বিশ্বমুসলিমের একক সেনাপতি রূপে তিনি প্রসিদ্ধ হবেন

Monday, 17 August 2020

ঈসা( আঃ) দেখতে কেমন হবে

 । ঈসা আ. এর দৈহিক গঠন  বিষয়টি সুস্পষ্ট করার জন্য নবী করীম সা. ঈসা নবীর দৈহিক গঠন পর্যন্ত বর্ণনা করেছেনঃ  •


 স্বাভাবিক দেহগঠন। না খাট, না লম্বা। •

 শুভ্র ও রক্তিম মাঝামাঝি বর্ণ। • সুপরিসর বক্ষদেশ। • স্বাভাবিক ও কোমল কেশ।

 অবতরণকালে চুল থেকে পানি টপকাচ্ছে।  মনে হবে, অথচ মাথা সম্পূর্ণ অসিক্ত। 

১ ঈসা আ. -প্রখ্যাত সাহাবী উরওয়া বিন মাসউদ রা. সদৃশ হবেন।  


|  


আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “

আমি মেরাজের রাত্রিতে মূসা এবং ঈসার সাথে সাক্ষাত করেছি। 

একপর্যায়ে ঈসা আ.-এর দৈহিক বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন- “স্বাভাবিক দেহ। শুভ্র ও রক্তিম মাঝামাঝি বর্ণ। (চুল) 

দেখে মনে হচ্ছিল, সদ্যই তিনি গােসল সেরে এসেছেন।” (বুখারী- মুসলিম)  

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “

আমি ঈসা, মূসা এবং ইবরাহীম আ.কে দেখেছি। তন্মধ্যে ঈসা হচ্ছেন কিছুটা রক্তিম বর্ণের। স্বাভাবিক চুল। প্রশস্ত বক্ষদেশ.....।” (বুখারী)  

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, 

নবী করীম সা. বলেন- “মেরাজ থেকে প্রত্যাগত হওয়ার পর নিজেকে আমি হজরে আসওয়াদের নিকটে আবিষ্কার করলাম। কুরায়েশ আমাকে ভ্রমণের খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করছিল। 

এক পর্যায়ে তারা বায়তুল মাকদিসের গুণ-প্রকৃতি জিজ্ঞেস করলে আমি প্রচণ্ড ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি। 

অতঃপর আল্লাহ বায়তুল মাকদিসকে আমার চোখের সামনে ভাসিয়ে দেন। ফলে নিমিষেই তাদের সকলের প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকি। 

সেখানে আমি অনেক নবীদেরকে দেখেছিলাম। মূসাকে নামায পড়তে দেখেছিলাম, হালকা দেহগঠন ও স্বাভাবিক কেশ। শানুআ গােত্রীয় লােকদের মত দেখাচ্ছিল।

 ঈসা বিন মারিয়াম নামায পড়ছিলেন, উরওয়া বিন মাসউদের মত আ.-ও সেখানে নামায পড়ছিলেন, ঠিক তােমাদের সাথী

 (স্বয়ং   মত। এমন সময় জামাতের সময় হলে আমি নামাযের ইমামতি করলাম নামায

কোথায় কিভাবে ঈসা (আঃ) নামবেন দুনিয়াতে

 । কোথায়.. কিভাবে.. ঈসা নবী অবতরণ করবেন  

দামেস্কের পূর্বাঞ্চলে সাদা মিনারের সন্নিকটে দুজন ফেরেস্তার কাঁধে ভর করে তিনি অবতরণ করবেন। 

ওয়ার্ড ও জাফরানে বর্ণিল দু-টি চাদর তাঁর গায়ে পরা থাকবে।

ইবনে কাছীর রহ. বলেন- “

প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, তিনি দামেস্কের পূর্ব প্রান্তে সাদা মিনারের কাছাকাছি স্থানে অবতরণ করবেন। 

তখন নামাযের ইক্বামত হতে থাকবে, তাঁকে দেখে মুসলমান বলবে- হে আল্লাহর নবী! নামাযের ইমামতি করুন!

 ঈসা নবী বলবেন- না! তুমি-ই পড়াও! ইক্বামত তােমার জন্য দেয়া হয়েছে!!" 

 ইবনে কাছীর রহ. আরও বলেন- "আমাদের সময় (৭৪১ হিজরী) মিনারটি সাদা পাথরে পুনর্নির্মিত হয়েছে।

 পূর্বের মিনারটি খৃষ্টানদের অর্থায়নে নির্মিত ছিল। ঈসা নবীর অবতরণ-স্থল।  

হিসেবে হয়ত আল্লাহ মুসলমানদের হাতে এটি নির্মাণের ফায়সালা করেছেন।” 

 ১৯৯২ সালে সিরিয়া ভ্রমণকালে পূর্ব দামেস্কের সেই স্থানে গিয়ে সাদা মিনারটি   দেখেছিলাম। পরে ছবি-ও তুলে নিয়ে এসেছি। 

স্থানীয় লােকদের নিকট প্রসিদ্ধ যে, এটি-ই। শহরের প্রবেশদ্বারে সাদা মিনার


সেই সাদা মিনার যেখানে ঈসা নবী অবতরণ করবেন। 

কোন মসজিদ ভিত্তিক মিনার নয়; বরং শহরের প্রবেশদ্বারে এটি নির্মিত। এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা- ই খৃষ্টান। 

বুঝার সুবিধার্থে ছবিটি এখানে দিয়ে দিলাম। ঈসা নবী কি এখানেই অবতরণ করবেন নাকি অন্য কোথাও..!?

 আল্লাহই ভাল জানেন।  কারাে কারাে মতে

- দামেস্কের উমাভী জামে মসজিদের মিনারের কাছে ঈসা আ. অবতরণ করবেন।

 আল্লাহ-ই ভাল জানেন..!!

 নিশ্চিতভাবে কোনটি-ই বলা যায় না।

যে পরিস্থিতিতে ঈসা (আঃ) নামবেন দুনিয়াতে

 । যে পরিস্থিতিতে তিনি অবতরণ করবেন 

 সদ্যই মুসলমান বৃহৎ যুদ্ধে খৃষ্টানদের পরাজিত করে কনস্টান্টিনােপল শহর বিজয় করেছে।

 পূর্বেই আলােচিত হয়েছে যে, অস্ত্রের মাধ্যমে নয়; শুধুমাত্র আল্লাহু আকবার ধ্বনিতেই কনস্টান্টিনােপল বিজয় হবে। 

অতঃপর শয়তানের ঘােষণা শুনে সবাই দামেস্কে ফিরে আসবে। এর পরপরই দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। 

সারাবিশ্ব ভ্রমণ করে সে মহা-ফেতনা ছড়িয়ে দেবে।  অপর বিস্তারিত বর্ণনায়-

 নবী করীম সা. বলেন- “দাজ্জাল মৃত-ভূমিতে অবতরণ করলে মদিনায় দু-টি ভূ-কম্পন অনুভূত হবে।

 আতঙ্কে সকল মুনাফিক মদিনা থেকে বেরিয়ে দাজ্জালের সাথে চলে যাবে। অতঃপর দাজ্জাল শামে এসে  


মুসলিম বাহিনীকে অবরােধ করবে।

 মুসলমান সেখানে মহা দুর্ভিক্ষে পতিত হবে। এহেন পরিস্থিতিতে এক মুসলমান বলতে থাকবে- ওহে মুসলমান!

 তােমরা এভাবে বসে আছ কেন? শত্রুবাহিনী তােমাদের ভূমিতে উপনীত হয়েছে!! 

জেগে উঠ..!! এখন-ই সময় পুণ্য অর্জনের, এখন-ই সময় শহীদ হওয়ার..!! 

অতঃপর সকলেই মৃত্যুর উপর বায়আত গ্রহণ করবে। 

আল্লাহ পাক তাদের সততাকে কবুল করে নেবেন। কিছুক্ষণ পর কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকার এসে


 মুসলমানদের ঢেকে ফেলবে- 


এমন সময় মরিয়ম তনয় ঈসা আসমান থেকে অবতরণ করবেন। 

অন্ধকার দূর হলে রণসাজে সজ্জিত অচিন ব্যক্তিকে সবাই দেখতে পাবে। বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করবে, কে আপনি? 

তিনি বলবেন, আমি আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল, আল্লাহর কালিমা এবং প্রেরিত রূহ ঈসা বিন মরিয়ম..!

! তােমাদের সামনে তিনটি অপশন রয়েছে- 

 ১) দাজ্জাল ও তার বাহিনীর উপর আল্লাহ আসমানী গযব নাযিল করবেন। 

২) তাদেরকে মাটির নিচে ধ্বসে দেবেন।  

৩)তাদের অস্ত্র-শস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে তােমাদের হাতে তাদের মৃত্যু ঘটাবেন। মুসলমান বলবে- শেষােক্ত অপশনটি-ই আমাদের জন্য অধিক শান্তি-দায়ক।

 সেদিন সুঠাম দেহবিশিষ্ট শক্তিশালী ইহুদী-ও ভয়ে তরবারি উত্তোলনে সক্ষম হবে  ।

 আল্লাহ পাক তাদেরকে নির্মম শাস্তি দেবেন। সেদিন ইহুদীবাদ সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

 ঈসা নবীকে দেখে দাজ্জাল মােমের মত গলতে থাকবে। কিন্তু আল্লাহর নবী ঈসা -দৌড়ে গিয়ে স্ব-হস্তে দাজ্জালকে বর্ষার আঘাতে হত্যা  করবেন।

. ঈসানবী অবতরণের দলিলঃ  

শেষ জমানায় দাজ্জালকে হত্যা করতে ঈসানবী আসমান থেকে অবতরণ করবেন। শরীয়তে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত দলিল বিদ্যমানঃ  


কোরআনের দলিলঃ  

আল্লাহ পাক বলেন- “যখনই মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল, 

তখনই আপনার মদায় হজ্জগােল শুরু করে দিল এবং বলল, আমাদের উপাস্যর শ্রেষ্ঠ, না সে? 

তারা আপনার সামনে যে উদাহরণ উপস্থাপন করে তা কেবল বিতর্কের জন্যেই করে।

 বস্তুতঃ তারা হল এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়। সে তাে এক বান্দাই বটে আমি তার প্রতি। 

অনুগ্রহ করেছি এবং তাকে করেছি বনী-ইসরাইলের জন্যে আদর্শ।

 আমি ইচ্ছা করলে তােমাদের থেকে ফেরেস্তা সৃষ্টি করতাম, যারা পৃথিবীতে একের পর এক বসবাস করত।

 সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন। কাজেই তােমরা কেয়ামতে সন্দেহ করাে না এবং আমার কথা মান। এটা এক সরল পথ।” (সূরা যুখরুফ ৭৫-৬১)  

উপরােক্ত আয়াতে ঈসানবীকে আল্লাহ কেয়ামতের নিদর্শন বুলেআিখ্যায়িত

ঈসা নবীকে মাছীহ বলার কারন কি

 | ঈসানবীকে মাছীহ- নামকরণের কারণঃ

 মাছীহ শব্দের অর্থ- যিনি মুছে দেন বা যিনি অধিক ভ্রমণ করেন। • যে কোন রােগীকে মুছে দেয়া মাত্রই রােগী সম্পূর্ণ আরােগ্য হয়ে যেত।

 • যাকারিয়া আ. তাকে স্পর্শ করে দিয়েছিলেন। • কেউ বলেন- তিনি বিশ্ব ভ্রমণ করেছিলেন। • 

কেউ বলেন- অধিক সত্যবাদী হওয়ায় উনাকে মাছীহ বলা হত।  


প্রশ্নঃ ঈসানবীর জীবিত থাকা এবং অন্যান্য নবীদের জীবিত থাকায় কি পার্থক্য? 

অথচ নবী করীম সা. বলেছেন- “নবীগণ কবরে জীবিত আছেন!!"

  উত্তরঃ ঈসানবী সশরীরে আত্মাসহ আসমানে উখিত হয়েছেন। এখনাে আসমানেই আছেন। মৃত্যুবরণ করেননি। আর অন্যান্য নবীগণ মৃত্যু আস্বাদন করে বরযখী জীবনে চলে গেছেন। প্রত্যেক নবী-ই কবর-জগতে এক বিশেষ জীবন লাভ করেন।


ঈসা নবীকে আসমানে উত্তোলন

 . ঈসা নবীকে আসমানে উত্তোলন  আল্লাহ পাক বলেন- 

“এবং কাফেররা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন, বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী। স্মরণ কর! 

যখন আল্লাহ বলেছিলেন, হে ঈসা!

 আমি তােমাকে নিয়ে নেবাে এবং তােমাকে নিজের দিকে তুলে নিবাে, কাফেরদের থেকে তােমাকে পবিত্র করে দেবাে।” (সূরা আলেইমরান ৫৫-৫৬)  

অন্যত্র আল্লাহ বলেন- “(অভিশাপ দিয়েছি ইহুদী জাতিকে) তাদের একথা বলার কারণে যে,

 আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। 

অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায়।

পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে,

 তারা এক্ষেত্রে মন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি। 

বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ পাক নিজের কাছে। 

আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 

আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে

। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে।” (সূরা নিসা ১৫৫-  


ইহুদীরা ঈসা আ.

-এর বিরুদ্ধে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসকের কাছে কুৎসা রটিয়েছিল। 

বিচারে ঈসাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যার সিদ্ধান্ত হলে ঈসাকে গ্রেফতার করতে বাড়ীতে বাহিনী পাঠানাে হয়। 

নিজগৃহে অবরােধকালে ঘুমের মধ্যে ঈসাকে আল্লাহ আসমানের দিকে উঠিয়ে নেন এবং বাহিনীর একজনকে ঈসা সদৃশ বানিয়ে দেন। 

শত আকুতি সত্তেও লােকেরা তাকে বাদশার দরবারে ধরে এনে ক্রুশবিদ্ধ করে অতঃপর ঈসা মছীহ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন শুনে সাধারণ খৃষ্টানর আত্মসমর্পণ করে। 

এরপর ইহুদীদের ষড়যন্ত্রে তারা ধীরে ধীরে তার গভার সাগরে হারিয়ে যায়। আল্লাহ পাক বলেন- 

“আহলে কিতাবদের সকল শ্রেণী তাদের মৃত্যুর পূর্বে ঈসার উপর ঈমান আনবে”।

 অর্থাৎ শেষ জমানায় পৃথিবীতে ঈসা আ.- এর আগমনের পর সমকালীন সকল খৃষ্টান মুসলমান হয়ে যাবে।

 তিনি এসে শুকর হত্যা করবেন, ক্রোশ ভেঙ্গে দেবেন, জিয়ার বিধান রহিত করবেন। ইসলাম ছাড়া সেদিন কিছুই গ্রাহ্য হবে না। 



মায়ের কোলে শিশু ঈসা( আঃ) এর কথা

 মায়ের কোলে শিশু ঈসী-র বাক্যালাপ

 অতঃপর মরিয়ম আ.-এর উপর দোষারােপ বাড়তে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি কোলের শিশুর দিকে ইশারা করলেন (অর্থাৎ শিশুর সাথে কথা বলুন সবাই!)

 তখন জাতি বলল- কোলের শিশুর সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব?  

তখন-ই শিশু ঈসা বলতে লাগলেন- “আমি তাে আল্লাহর বান্দা (দাম)। 

তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন। 

আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন।

 তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে এবং জননীর অনুগত থাকতে এবং আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি। 

আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি,

 যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উখিত হব।” (সূরা মারিয়াম ২৮-৩৩) 

 উল্লেখ্য- ঈসা নিজেকে আল্লাহর দাস বলেছেন; পুত্র নয়। 

কারণ, আল্লাহর। কোন শরীক নেই। কোন সাথী বা পুত্র গ্রহণ থেকে তিনি পবিত্র। 

পবিত্র সেই সত্তা, যিনি প্রতিটি বস্তুকে যথাযথ স্থানে রেখেছেন, মানুষকে সৎ-পথ দেখিয়েছেন।  হ্যাঁ..! এই হচ্ছে প্রকৃত ঈসা আ.। 

আল্লাহ পাক বলেন- “এই হচ্ছে মারিয়ামের পুত্র ঈমা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লােকেরা বিতর্ক করে।

 আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সন্তা, 

তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়।” (সূরা মারিয়াম ৩৪-৩৫)  

অপর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন- “নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত

হচ্ছে আদমের-ই মতাে। 

তাকে মাটি দিয়ে তৈরি করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেল।” (সূরা আলে ইমরান-৫৯) 

 ঈসা আ.কে আল্লাহ পাক মহা নেয়ামত দান করেছেন। এরশাদ করেছেন- “স্মরণ করুন! যখন আল্লাহ বলবেন- হে ঈসা ইবনে মরিয়ম!

 তােমার প্রতি ও তােমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন আমি তােমাকে পবিত্র আত্মার দ্বারা সাহায্য করেছি।

 তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে কোলে থাকতেও এবং পরিণত বয়সেও এবং যখন আমি তােমাকে গ্রন্থ, প্রগাঢ় জ্ঞান, 

তওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছি এবং যখন তুমি কাদামাটি দিয়ে পাখীর প্রতিকৃতির মত প্রতিকৃতি নির্মাণ করতে আমার আদেশে, 

অতঃপর তুমি তাতে ফু দিতে; ফলে তা আমার আদেশে পাখী হয়ে যেত এবং 

তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরােগীকে নিরাময় করে দিতে এবং যখন আমি বনী

-ইসরাঈলকে তােমা- থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম

, যখন তুমি তাদের কাছে প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা বলল- এটা প্রকাশ্য জাদু ছাড়া কিছুই নয়। 

আর যখন আমি হাওয়ারী (ঈমা সঙ্গী)দের মনে জাগ্রত করলাম যে,

 আমার প্রতি এবং আমার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তখন তারা বলতে লাগল,

 আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা আনুগত্যশীল।” (সূরা মায়েদা ১১০-১১১)  

শেষনবী মুহাম্মদ সা. সম্পর্কেও ঈসা আ. ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন।

 আল্লাহ পাক বলেন- “স্মরণ কর! যখন মরিয়ম-তনয় ঈমা বলল- 

হে বনী ইমরাইল। আমি তােমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।

 আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, 

যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ।

 অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বলল- এ তাে এক প্রকাশ্য যাদু!” (সূরা সাফ-৬)  

সুতরাং ঈসা আ. হচ্ছেন বনি ইসরাইলের উদ্দেশ্যে প্রেরিত নবী।

 তিনি সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সা.এর ব্যাপারে সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছিলেন। চেনার সুবিধার্থে এমনকি নাম ও গুণাগুণ পর্যন্ত বর্ণনা করেছিলেন। 

আল্লাহ পাক বলেন- “সেসমস্ত লােক, যার আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, 

যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন

 অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষণা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং 

তাদের উপর থেকে সে বােঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। 

সুতরাং যেসব লােক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং 

সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্যে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।” (সূরা আরাফ-১৫৭)


ইসা ( আঃ) এর জন্ম

 ঈসা আ.-এর জন্ম 

 আল্লাহ পাক বলেন- “প্রসব বেদনা তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষমূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল।

 তিনি বললেন- হায়, আমি যদি কোনরূপে এর পূর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতাম! 

অতঃপর (শিশু নিম্নদিক থেকে আওয়াজ দিলেন যে, আপনি দুঃখ করবেন নপ্রিম বেদনা তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষমূলে আশ্রয় নিতেবাধ্য করল। তিনি বললেন- 

হায়, আমি যদি কোনরূপে এর পূর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতাম! অতঃপর!

 আপনার পালনকর্তা আপনার পায়ের তলায় একটি নহর জারি করেছেন! আপনি নিজের দিকে খেজুর গাছের কাণ্ডে নাড়া দিন!

 তা থেকে আপনার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে। সেখান থেকে আহার করুন! পান করুন।

 এবং চক্ষু শীতল করুন! যদি মানুষের মধ্যে কাউকে দেখতে পান, তবে বলে দিবেন যে, আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রােযা মানত করেছি। 

সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না।

 অতঃপর তিনি সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তারা বললঃ হে মরিয়ম! তুমি একটি অঘটন ঘটিয়ে বসেছ!

 হে হারুন- ভাগিনী, তােমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তােমার মাতা-ও ছিল না ব্যভিচারিণী!” (সূরা মারিয়াম ২২-২৮)  


যেভাবে মরিয়ম ( আঃ) শিশু ইসা (আঃ) কে ভূমিষ্ট করেছিলেন

 মারিয়াম আ. যেভাবে শিশু ঈসাকে ভূমিষ্ঠ করেছিলেন 

 আল্লাহ পাক তাকে পবিত্র, সম্মানিত ও অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন একজন নবী-সন্তান দান করবেন- ফেরেস্তাদের এই সুসংবাদ শুনে স্বভাবতই তিনি চমকে উঠেছিলেন। স্বামী ছাড়া সন্তান! হ্যাঁ..।

 আল্লাহ পাক সর্ববিষয়ে ক্ষমতাধর। যখন যা চান- “হয়ে যাও!" বলা মাত্রই হয়ে যায়।  

আল্লাহর এই মহান ইচ্ছার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য হয়ে তিনি নীরবতা অবলম্বন করলেন। 

সত্য বুঝতে না পেরে মানুষ তাকে দোষারােপ করবে -ভেবেও ধৈর্যের পথ বেছে নিলেন। 

 বমি বা ঋতুস্রাব জাতিয় কারণে মাঝে মাঝে তিনি মসজিদের বাইরেও যেতেন। 

এমনি এক কারণে একদিন তিনি মসজিদে আকসার পূর্বদিকে বাইরে  



ইসা বিন মারিয়াম আ.-এর প্রত্যাগমন  


বসে ছিলেন। 

সে মুহূর্তে আল্লাহ পাক ফেরেস্তা জিবরীল আ.কে মানুষের আকৃতিতে প্রেরণ করলেন। 

তাকে দেখা মাত্রই পরপুরুষ ভেবে তিনি বলে উঠলেন- “তােমার অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই”! আল্লাহকে ভয় কর। 

এবং এখান থেকে চলে যাও ! জিবরীল বললেন- “আমি তাে শুধু তােমার পালনকর্তা প্রেরিত (একজন ফেরেস্তা), তােমাকে এক পবিত্র-পুত্র দান করতে এসেছি।” 

মারিয়াম আ. বললেন- “কিরুপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি কখনাে ব্যভিচারিণীও ছিলাম না.!?” ফেরেস্তা বললেন- “আল্লাহর জন্য সবকিছুই সহজ। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।” আল্লাহ পাক মানুষের জন্য একটি নিদর্শন রাখতে চান। কারণ,  ১ আল্লাহ পাক আদমকে পিতা-মাতা-বিহীন সৃষ্টি করেছেন ১ হাওয়াকে পিতৃহীন পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছেন • ঈসাকে স্বামীহীনা সতী মহিলা থেকে সৃষ্টি করেছেন • বাকী সবাইকে পিতা-মাতা থেকে সৃষ্টি করেছেন  


আল্লাহ পাক বলেন- “আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন ইমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুকে দিয়েছিলাম..” অর্থাৎ জিবরীল তার জামার আঁচলের দিকে ফু দিলেন। সে ফু গিয়ে জরায়ু স্পর্শ করে। অতঃপর গর্ভবতী হলে মরিয়ম আ. এক দূরবর্তী স্থানে চলে যা

দাজ্জাল আসার আগে পৃথিবীতে যা যা হবে

 দাজ্জালের পূর্বে পৃথিবীর  পরিস্থিতি

  নাফে বিন উতবা বিন আবি ওয়াক্কাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “অচিরেই তােমরা আরব উপদ্বীপ যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন।

 অতঃপর পারস্যের (বর্তমান ইরান) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন।

 অতঃপর রােমানদের (তুরস্ক তথা বাইইন্টাইন বাহিনীর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন।

 পরিশেষে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সেখানেও আল্লাহ তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন।-" (মুসলিম)  

মুয়ায বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “জেরুজালেমে জনবসতি বৃদ্ধি মানে মদিনার বিনাশ। মদিনার বিনাশ মানে বিশ্বযুদ্ধের সূচনা। বিশ্বযুদ্ধের সূচনা মানে কনস্টান্টিনােপল বিজয়।

 কনস্টান্টিনােপল বিজয় মানে দাজ্জালের আবির্ভাব।-"

  দাজ্জাল প্রকাশের পূর্বে মুসলমান এবং রােমান খৃষ্টানদের মধ্যে বড় ধরনের কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে।

 আল্লাহর রহমতে মুসলমানগণ চূড়ান্ত বিজয়ার্জন করবেন।  

যি মিখমার রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “রােমান (খৃষ্টানদের সাথে তােমরা শান্তিচুক্তি করবে। অতঃপর তােমরা এবং তারা মিলে পেছনের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রচুর যুদ্ধলব্ধ সম্পদ অর্জন করবে। 

সম্পদ বণ্টন শেষে ফিরতি পথে যখন তােমরা উঁচু ভূমিতে অবতরণ করবে, তখন এক খৃষ্টান ক্রোশ তুলে ধরে

 -“ক্রোশের বিজয় হয়েছে, ক্রোশের বিজয় হয়েছে-" বলতে থাকলে এক মুসলমান গােস্বায় ক্রোশ ভেঙ্গে ফেলবে। 

আর তা   চুক্তির কথা ভুলে গিয়ে মহাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।  অপর বর্ণনায়- “অতঃপর মুসলমানরা-ও হাতে অস্ত্র তুলে নেবে। তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হবে।

 মুসলমানদের ঐ দলটিকে আল্লাহ শাহাদাতের সুমহান মর্যাদায় ভূষিত করবেন।"

منظر للمرح من فوق إحدى الشلال  


বিস্তারিত প্রেক্ষাপট অপর হাদিসে বর্ণিত হয়েছেঃ  

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “কেয়ামত সংঘটিত হবে না, দাবেক এলাকার একটি বিস্তৃত সমতল ভূমি যতক্ষণ না রােমক (খৃষ্ট) সম্প্রদায় আমাক (মতান্তরে দাবেক) প্রান্তরে।

 (শামের প্রসিদ্ধ হালব শহরের সন্নিকটে একটি স্থান, সেখানেই মহাযুদ্ধটি সংঘটিত হবে) এসে একত্রিত হবে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দামেস্ক শহর থেকে একদল শ্রেষ্ঠ মুসলমান বের হবে। 

উভয় বাহিনী মুখােমুখি  উঁচু ভূমির চিত্র হলে রােমক সম্প্রদায় বলবে- তােমরা সরে যাও! 

ধর্মত্যাগীদেরকে আমরা হত্যা করতে এসেছি (বুঝা গেল, এর পূর্বে মুসলিম-খৃষ্ট আরাে কতিপয় যুদ্ধ সংঘটিত হবে। 

মুসলমান সেখানে বিজয়ী হয়ে কিছু খৃষ্টানকে বন্দি করে নিয়ে আসবে। 

পরবর্তীতে বন্দি খৃষ্টানরা মুসলমান হয়ে মুজাহিদদের কাতারে শামিল হয়ে যাবে) মুসলমান তখন বলবে- (দ্বীনী) ভাইদেরকে কস্মিনকালেও তােমাদের হাতে তুলে দেব না। ফলে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। 

এক-তৃতীয়াংশ (মুসলমান) পরাজিত হয়ে পালিয়ে যাবে, এদের তওবা আল্লাহ কখনাে কবুল করবেন না। 

এক-তৃতীয়াংশ নিহত হয়ে যাবে, আল্লাহর কাছে তারা শ্রেষ্ঠ শহীদের মর্যাদা পাবে। 

অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশকে আল্লাহ মহা-বিজয় দান করবেন, ফেতনা কখন-ই এদের গ্রাস করতে পারবে না। 

সামনে এগিয়ে তারা কনস্টান্টিনােপল বিজয় করবে।


তরবারিগুলাে বৃক্ষের সাথে ঝুলিয়ে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বণ্টন করতে থাকবে, হঠাৎ শয়তান তাদের মাঝে ঘােষণাকরবে "দাজ্জাল তােমাদের পরিবারগুলােকে ধাওয়া করেছে।

 ঘােষণাটি মিথ্যে হলেও মুসলমান যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদ মাটিতে ফেলে দিয়ে স্বদেশ অভিমুখে রওয়ানা হবে।

 শামে ফিরে আসার পর সত্যি-ই দাজ্জাল বের হয়ে আসবে

সালচিত্রে 'হালন' এৰু সন্নিকটইদাবেক প্রান্ত। খৃষ্টান বাহিনী  তুরস্ক থেকে এখানেই এসে একত্রিত হবে। 

হাদিসে উল্লেখিত কনষ্টান্টিনােপল শহরটি উত্তর পশ্চিম  তুরস্ক অবস্থিত।  



দাজ্জল প্ৰকাশপূর্ব আরাে কতিপয় ঘটনা  

আবু উমাম বাহেলী রা. থেকে বর্ণিত,

 নবী করীম সা. বলেন- “**দাজ্জালের পূর্বে তিনটি মহা**

 দুর্ভিক্ষময় বৎসর অতিবাহিত হবে।

 প্রাকৃতিক সকল খাদ্যোপকরণ ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষ প্রচণ্ড খাদ্যাভাবে পড়ে যাবে। 

প্রথম বৎসর আল্লাহ আসমানকে এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে এক তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। 

দ্বিতীয় বৎসর আল্লাহ আসমানকে দুই তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে দুই তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে করবেন।

 তৃতীয় বৎসর আল্লাহ আসমানকে সম্পূর্ণ বৃষ্টি এব  ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। ফলে এক ফোটা বৃ৷  । একটি শস্য-ও অঙ্কুরিত হবে না। 

আল্লাহ চাহেন তাে মুষ্টিমেয় ছাড়া সকল ছায়া-দার বস্তু ধ্বংস-মুখে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে (অর্থাৎ গাছ, পালা ও বৃক্ষকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে)। 

সেদিন তাহলে মানুষ কি খেয়ে জীবন ধারণ করবে হে আল্লাহর রাসূল?’ 

প্রশ্নের উত্তরে নবীজী বললেন- তাকবীর (আল্লাহু আকবার পাঠ) এবং তাহমীদ (আলহামুদিলাল্লাহ পাঠ) মানুষের পাকস্থলীতে খাদ্যের কাজ দেবে।” (ইবনে মাজা)

দাজ্জালের আলােচনা উঠে যাবে  রাশেদ বিন সাঈদ থেকে বর্ণিত, ইস্তাখির (পারস্য রাজাদের বস-বাসস্থল ও ধন সম্পদে সর্বোন্নত নগরী) যখন বিজয় হয়, দাজ্জাল বেরিয়ে গেছে, দাজ্জাল বেরিয়ে গেছে বলে-' এক ঘােষক ঘােষণা করতে থাকলে ইবনে জুছামা তার কাছে এসে বললেন- “চুপ কর! নবী করীম সা.কে আমি বলতে শুনেছি- “দাজ্জাল ততক্ষণ পর্যন্ত বের হবে না, যতক্ষণ না মানুষ তার কথা ভুলে যাবে, মিম্বর থেকে দাজ্জালের আলােচনা উঠে যাবে।”

১০৮ টা কিয়ামতের আলামত জেনে নিন / কেয়ামতের আগে পৃথিবীতে কি কি ঘটবে

 কিয়ামতের ক্ষুদ্রতম নিদর্শন সমূহ  


। প্রথম ভাগঃ যেগুলাে ঘটে অতিবাহিত হয়ে গেছে-

 ১ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব ) নবী মুহাম্মদ সা.এর ইন্তেকাল  


২-চন্দ্র বিদারণ  ও সাহাবা যুগের অবসান ওবায়তুল মাকদিস (জেরুজালেম) বিজয় 

৩- ব্যাপক প্রাণহানি (ছাগ-ব্যাধি সদৃশ এক মহামারীতে) ও একের পর এক ফেতনার আবির্ভাব 

৪-স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আবিষ্কার

৫- মুসলমানদের আভ্যন্তরীণ সিফফীন যুদ্ধের বাস্তব প্রতিফলন  ভ্রষ্ট খারেজী সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ। 

৬- মিথ্যা নবুওয়াত দাবীদারদের আত্মপ্রকাশ 

৭-শান্তি, নিরাপত্তা এবং সচ্ছলতার জয়-জয়কার 

৮- হেজায ভূমিতে বিশাল অগ্নি প্রকাশ 

৯-তুর্কীদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ 

১০-চাবুকে আঘাতকারী অত্যাচারী ব্যক্তিবর্গের আবির্ভাব 

১১-হানাহানি, সংঘাত এবং ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ 

১২- মানুষের হৃদয় থেকে আমানতদারী তথা বিশ্বস্ততার বিদায় , 

১৩-পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির পদাঙ্ক অনুসরণ 

১৪-দাসীর গর্ভ থেকে মনিবের জন্ম গ্রহণ ও স্বল্প কাপড় পরিহিত নগ্ন মহিলাদের আত্মপ্রকাশ

১৫-সুউচ্চ বাড়িঘর নির্মাণে নগ্নপদ আরব্য রাখালদের প্রতিযােগিতা

 ১৬- ব্যক্তিবিশেষে সালাম প্রদান 

১৭-বাণিজ্য (বিজনেস) ব্যাপক আকার ধারণ 

১৮- স্বামীর সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায় স্ত্রীর অংশগ্রহণ 

১৯-সারা বাজারে মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীর প্রভাব 

২০-ব্যাপকহারে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান

 ২১-ব্যাপকহারে সত্য সাক্ষ্য গোপন

 ২২-(দ্বীন সম্পর্কে) মূৰ্থতা ব্যাপক আকার ধারণ  ব্যয়কুণ্ঠতা ও কার্পণ্যতা ব্যাপক আকার ধারণ

 ২৩-ব্যাপকহারে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করণ 

২৪-প্রতিবেশীর সাথে দুর্ব্যবহার 

২৫- অশ্লীলতা ব্যাপক আকার ধারণ

 ২৬- বিশ্বস্তকে বিশ্বাসঘাতক এবং ঘাতককে বিশ্বস্ত জ্ঞান ও মর্যাদাবান ব্যক্তিদের বিলুপ্তি এবং অধীনস্থতা প্রকাশ @সম্পদ-অর্জনে হালাল হারাম বিবেচনার বিলুপ্তি ও যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জ্ঞান 

২৭-আমানতের বস্তুকে খরচের বস্তু জ্ঞান। 

২৮-যাকাত আদায়কে জরিমানা জ্ঞান

  ২৯-আল্লাহর জ্ঞান ছেড়ে পার্থিব জ্ঞান অর্জনে মনােনিবেশ 

২৯- মায়ের অবাধ্য হয়ে স্ত্রীকে সন্তুষ্টকরণ ও জন্মদাতা পিতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে বন্ধু-বান্ধবকে কাছে আনয়ন ও আল্লাহর ঘর মসজিদে উচ্চস্বরে হৈ হুল্লোড় 

৩০-গােত্রীয় সম্প্রদায়ে পাপিষ্ঠদের নেতৃত্ব দান 

৩১-জাতির নেতৃত্বে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিদের আগমন 

৩২- আক্রমণের ভয়ে মানুষকে সম্মান দেখানাে গুড় মেয়েদের সাথে অবাধ মেলামেশা বৈধ জ্ঞান। 

৩৩-রেশমি কাপড়ের ব্যাপক ব্যবহার ৪৩-মদ্যপান হালাল জ্ঞান 

৪৪-গান-বাদ্য ও নর্তকীর নৃত্য বৈধ জ্ঞান 

৪৫-ফেতনার আধিক্যে মানুষের মৃত্যু কামনা

৪৬-সকালে মুমিন থাকবে বিকালে কাফের হয়ে যাবে -এমন কালের আগমন 

৪৭- মসজিদগুলােকে অধিক সুসজ্জিত করার প্রতিযােগিতা 

৪৮-ঘরবাড়ী ডিজাইন এবং রকমারি কারুকার্য করণ 

৪৮-অধিক হারে আকাশ থেকে বজ্র বর্ষণ 

৪৯ব্যাপকহারে লেখালেখি এবং পুস্তক প্রকাশ

 ৫০-বাক-জাদুতে সম্পদ উপার্জন এবং চাপাবাজি প্রতিযােগিতা

 ৫১- কুরআন ছেড়ে অন্যান্য গ্রন্থাদির প্রচার প্রসার ® জ্ঞানী এবং দ্বীনের বাহকদের অভাব এবং কুরআন পাঠকের প্রভাব

 ৫২-ছােট ও স্বল্পজ্ঞানীদের কাছে এলেম অন্বেষণ © আকস্মিক মৃত্যুর হার বৃদ্ধি ও নির্বোধ লােকদের নেতৃত্ব

 ৫৩- দ্রুত গতিতে সময় পার 

৫৪- বড় বিষয়ে নিচু লােকদের বাক-যুদ্ধ  দুনিয়ার সবচে সৌভাগ্য শীল ব্যক্তি- লুকা বিন লুকা 

৫৫- মসজিদকে যাতায়াত ও পারাপারের পথ হিসেবে ব্যবহার 

৫৬- মােহরের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস

৫ ৭ -অশ্বের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস

 ৫৮- বাজার ও দোকানপাট নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া। ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সকল বিধর্মী রাষ্ট্রের একক অবস্থান 

৫৯- নামাযের ইমামতিতে মুসল্লিদের ধাক্কাধাক্তি। 

৬০- মুমিনের সত্য স্বপ্ন

 ৬১- মিথ্যা ব্যাপক আকার ধারণ 

৬২-পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ প্রকাশ 

৬৩- ব্যাপকহারে ভূ-কম্পন সৃষ্টি 

৬৪- নারী জাতির আধিক্য

 ৬৫- পুরুষ হ্রাস 

৬৬- অশ্লীলতা ও নােংরামি ব্যাপক ও খােলখােলি


****যে সকল নিদর্শন এখন পর্যন্ত ঘটেনি-***


 ১- হাতে হাতে প্রচুর ধন-সম্পদ ® ভূমির আভ্যন্তরীণ খনিজ সম্পদ প্রকাশ 

২- রূপ-বিকৃতির ঘটনা বৃদ্ধি * ভূমিধ্বস 

৩- অপবাদ প্রবণতা বৃদ্ধি 

৪- এমন বৃষ্টি, যা সকল জনপদকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে 

৫-ফসলহীন বৃষ্টি (বৃষ্টি হলেও ফসলে বরকত হবে না) 

৬-সকল আরব দেশে ছড়িয়ে যাবে -এমন ফেতনা 

৭-মুসলমানদের সাহায্যে বৃকুলের কথন 

৮-মুসলমানদের সাহায্যে পাথরের কথন 

৯-ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সর্বশেষ যুদ্ধ

 ১০- (ইরাকের) ফুরাত নদীতে স্বর্ণের খনি উন্মােচন 

১১-হারামে লিপ্ত হও, নয় বিদায় হও!

 ১২-আরব উপদ্বীপ সবুজ শ্যামল পরিবেশ এবং নদীনালায় পূর্ণ 

১৩- “আহলাছ-' এর ফেতনা প্রকাশ

 ১৪-সচ্ছলতা-র ফেতনা প্রকাশ 

১৫"অন্ধকার-” ফেতনার আবির্ভাব

 ১৬- একটি মাত্র সেজদা সারা দুনিয়া অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতা লাভ 

১৭-চন্দ্র-স্থীতি 

১৮- সকল মুসলমান শামে হিজরত করবে -

১৯- মুসলমান এবং রােমান (খৃষ্টান)দের মধ্যে বৃহত্তম যুদ্ধ 

২০-মুসলমানদের কনস্টান্টিনােপল (বর্তমান তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল) বিজয়। (সেনাপতি মুহাম্মদ ফাতেহ-র নেতৃত্বে ইসলামের প্রাথমিক যুগে একবার বিজয় হয়েছিল। তবে শেষ জমানায় ইমাম মাহদীর বাহিনী পূনরায় তা বিজয়  হবে)

২১- মীরাছ (ত্যাজ্য সম্পদ) বণ্টনের সুযােগ থাকবে না ও গণিমত (যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদ) নিয়ে আনন্দ উল্লাসের সুযােগ থাকবে না 

২২- তীর-তলােয়ার এবং অশ্বের যুগ পুনঃ প্রত্যাবর্তন 

২৩-বায়তুল মাকদিসের আশপাশে (জেরুজালেমে) জনবসতি বৃদ্ধি 

২৪ -বিনাশের সম্মুখীন হয়ে মদিনা -বসতি ও আগন্তুক শূন্য

 ২৪-মদিনা থেকে সকল কাফের-মুনাফিকের নির্বাসন 

২৫-পর্বতমালার স্থানচ্যুতি 

২৬- 'কাহতান-' গােত্র থেকে এক মহান মান্যবর ব্যক্তির আবির্ভাব

 ২৭- 'জাহজাহ-' নামক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ

 ২৮-চতুষ্পদ জন্তু এবং জড়বস্তুর সাথে মানুষের বাক্যালাপ 

২৯-লাঠির অগ্রভাগের সাথে মানুষের বাক্যালাপ 

৩০-জুতার ফিতার সাথে মানুষের বাক্যালাপ 

৩১-ঘরে কি হচ্ছে.. উরুর পেশি মানুষকে এর সংবাদ প্রদান 

৩২- কেয়ামতের পূর্বমুহূর্তে সকল মুমিনের মৃত্যু 

৩৩-কাগজের পাতা এবং মানুষের অন্তর থেকে কুরআন উত্তোলন

 ৩৪- কাবা ঘরের দিকে (ইমাম মাহদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসা বিশাল নামধারী মুসলিম বাহিনীর মাটির নিচে ধ্বস। 

৩৫-আল্লাহর ঘরের দিকে মানুষের হজ্ব ত্যাগ 

৩৬-কতিপয় আরব গােত্র মূর্তি পূজায় পুনঃ প্রত্যাবর্তন 

৩৭-কুরায়েশ বংশের বিলুপ্তি 

৩৮- একজন কালাে হাবশী (বর্তমান ইথিউপিয়া) লােকের হাতে কাবা ঘর  


৩৮-মুমিনদের রূহ ছাড়িয়ে নিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুবাতাস প্রেরণ 

৩৯- মক্কা নগরীর ভবনগুলাে আকাশ-সম উঁচু করে নির্মাণ 

৪০- পরবর্তী মুসলমান কর্তৃক পূর্ববর্তী মুসলমানদের গালমন্দ-করণ 

৪১- নিত্যনতুন অত্যাধুনিক যান বাহন (গাড়ী, বাস, ট্রেন, প্লেন ইত্যাদি) আবিষ্কার  

৪২- ইমাম মাহদীর আবির্ভাব।

আল কোরআনে যে ২৫ জন নবীর নাম বণনা করা৷ আছে তাদের নাম

 পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবী

(আঃ) গণের নাম:

১. হযরত আদম (আঃ)

২. হযরত নূহ (আঃ)

৩. হযরত হূদ (আঃ)

৪. হযরত ইদরীস (আঃ)

৫. হযরত সালেহ (আঃ)

৬. হযরত লূত্ব (আঃ)

৭. হযরত ইব্রাহীম (আঃ)

৮. হযরত ইসমাঈল (আঃ)

৯. হযরত ইসহাক্ব (আঃ)

১০. হযরত ইয়াকূব (আঃ)

১১. হযরত ইউসুফ (আঃ)

১২. হযরত আইয়ূব (আঃ)

১৩. হযরত শু'আয়েব (আঃ)

১৪. হযরত মূসা (আঃ)

১৫. হযরত হারুন (আঃ)

১৬. হযরত ইউনুস (আঃ)

১৭. হযরত দাউদ (আঃ)

১৮. হযরত সুলায়মান (আঃ)

১৯. হযরত ইলিয়াস (আঃ)

২০. হযরত আল ইয়াসা (আঃ)

২১. হযরত যুল-কিফল (আঃ)

২২. হযরত যাকারিয়া (আঃ)

২৩. হযরত ইয়াহ্ইয়া (আঃ)

২৪. হযরত ঈসা (আঃ)

২৫. হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

Sunday, 16 August 2020

মেয়েদের পর্দা নিয়ে হাদিস

 গ্রন্থঃ পর্দা একটি ইবাদত

অধ্যায়ঃ কুরাআন ও হাদীস থেকে পর্দার দলীল


 

প্রথমত: করআন থেকে দলীল 


নিম্নে বর্ণিত দীললসমূহ পর্দা ফরযের উজ্জল প্রমাণ এবং যারা মনে করে যে, পর্দা একটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অভ্যাস বা ইসলামের প্রাথমিক যুগের জন্যই মানানসই ছিল, তাদের জন্য দাঁত ভাঙ্গা জবাব।


প্রথম দলীল: আল্লাহ তা‘আলার বাণী:


﴿وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوۡ ءَابَآئِهِنَّ أَوۡ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآئِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوۡ نِسَآئِهِنَّ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّٰبِعِينَ غَيۡرِ أُوْلِي ٱلۡإِرۡبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفۡلِ ٱلَّذِينَ لَمۡ يَظۡهَرُواْ عَلَىٰ عَوۡرَٰتِ ٱلنِّسَآءِۖ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١ ﴾ [النور: ٣١]


“(হে নবী!) ঈমানদার নারীদেরকে বল: তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে, তারা যেন যা সাধারণত; প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের শোভা প্রদর্শন না করে, তাদের গলদেশ ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে, তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা (দাদা-নানাসহ), শশুর (দাদা শশুর-নানা শশুরসহ), পুত্র (ও নাতি), স্বামীর পুত্র (নাতিসহ), ভাই (সহোদর ও সৎভাই), ভাতিজা, ভাগ্নে, আপন (মুসলিম) নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাস- দাসী, এমন অধিনস্থ পুরুষ যাদের মধ্যে পৌরুষত্ব বিলুপ্ত এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারো নিকট তাদের শোভা প্রকাশ না করে। তারা যেন সজোরে পদক্ষেপ না নেয় যাতে তাদের গোপন শোভা প্রকাশ পায়। হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। [স

সালাতের নিয়ম

 *সিজদার দোয়া সমূহ 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন যখন তোমাদের কেহ রুকুতে যায় তখন সে যেন তার রুকুতে তিনবার বলে সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম অর্থ আমার মহান রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি সে যদি এরূপ করে তাহলে তার রুকু পুরা হল আর যখন তোমাদের কেহ সেজদা করে তখন সে যেন তার সিজদায় তিনবার বলে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ আমার মহান রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি যদি সে এরূপ করে তাহলে তার শেষ ধাপ পূরণ হলো আর এটি হলো ন্যূনতম সংখ্যা( তিরমিজি 261 মুসলিম 684) 

রুকু সিজদায় কোরআন পাঠ করতে নিষেধ করা হয়েছে তোমরা তোমাদের রবের মুহূর্ত বর্ণনা করবে এবং সিজদায় অধিক পর কোন দোয়া পাঠ করবে সেজদায় তোমাদের দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্ত স্থান (মুসলিম 956)

*দুই সিজদার মাঝে বসা এবং দোয়া পাঠ

বারা (রা) বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিজদা রুকু এবং দুই সিজদার মাঝে বসা প্রায় সমান হতো বুখারী 779 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বলতেন -আল্লাহুম্মা মাগফিরিলি ওয়ার হামনি ওজবুরুনি ওয়াহদীনি ওয়া আফিনী ওয়ারযুকনী।

অর্থ হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করো আমার উপর রহম করো আমার অবস্থা সংশোধন করো আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করো আমাকে সুস্থতা দান কর ওকে রোজি দানকা (তিরমিজি 284)


*সালাতের মধ্যে ইমামে পূর্বে রুকু সেজদা ও সালাম ফিরানো প্রসঙ্গ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের ইমাম সুতরাং রুকু সিজদা সালাম ফিরানোর ক্ষেত্রে আমার আগে করোনা( মুসলিম 840) 

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমাদের কেউ যখন ইমামের আগে মাথা উঠিয়ে ফেলে তখন সে কি ভয় করে না যে আল্লাহ তাআলা তার মাথা গাধার ন্যায় পরিণত করে দিবেন কিংবা তার আকৃতি গাধা আকৃতি করে দিবেন (বুখারী  656 -মুসলিম 847- তিরমিজি 582 -ইবনে মাযা 961)

জেনে নিন যে সুরা পাঠ করলে কোন দিন উপবাস তাকবেন না,,এবং যে সুরা পাঠ করলে কবরে আজাব হবে না৷

 যে ব্যাক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনো উপবাস থাকবে না,, 

হযরত আব্দুললা ইবনে মাসউদ(রা) বলেন রাসুলুল্লাহ সাঃ আঃ বলেছেন 

যে ব্যাক্তি প্রতিরাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্যতা স্পর্শ করবে না। হযরত ইবনে মাসউদ(  রা)  তার মেয়েদের কে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন,,

সুরা মুলক যে ব্যাক্তি  প্রতিরাতে তেলাওয়াত করবে তার কবরে আাজাব হবে না,,, 

আবার সুরা মুলক এর তিলাওয়াত কারীকে যতখন  না জান্নাতে না দিবে আল্লাহ  ততখন এ সুরা আল্লাহর সাতে তর্ক করবেন,, এজন্য  বিশ্ব নবী বলতেন আমি চাই আমার প্রতিটা উম্মতের সিনার মধ্য  সুরা মুলক  থাক

জেনে নিন ১০ টা ছোট আলম যা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে জাবে


আমল : ১

প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) । এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।

আমল : ২

প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৯৭২।

আমল : ৩

প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮। সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩) ।

আমল : ৪

প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নং- ৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ১১৪০।

আমল : ৫

রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন। তবরানি, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫৬ ।

আমল : ৬

সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। সহিহ আবু দাউদ, হাদিস নং- ৫০৯১। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি' পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)

আমল : ৭

সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২।

আমল : ৮

সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। নাসাই, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫১।

আমল : ৯

বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ করুণ এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০ লক্ষ পাপ মোচন হবে, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা হবে। তিরমিজি, হাদিস নং- ৩৪২৮,৩৪২৯।

আমল : ১০

বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪৯৯, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৩১৬।

আসেন জেনে নিই ফরজ নামাজের ৬ টি ফজিলত

 ◼ ফজর নামাজের ৬টি ফজিলত:-


✔ হাদিস নংঃ-০১

⭕ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ-


"ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী,কারন রাসূল (সাঃ) বলেন "মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় করা কষ্টকর" হাদিস বুখারী  -৬৫৭ / মুসলিম -৬৬১] 


✔ হাদিস নংঃ-০২

⭕ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ-


"যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে,সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায় অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নিয়া নেন।"  [তিরমিজি-২১৮৪] 

✔ হাদিস নংঃ-০৩

⭕ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ-


"যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহ তা'য়ালা তার আমল নামায় সারা রাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন![সহিহ মুসলিম-১০৯৬] 


✔ হাদিস নংঃ-০৪

⭕ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ-


"যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহ তা'য়ালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।"

[আবু দাউদ -৪৯৪]

✔ হাদিস নংঃ-০৫

⭕ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ-


"যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে,আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন অর্থাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে,এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে।"

[বুখারী -৫৭৩] 

✔ হাদিস নংঃ-০৬

⭕ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ-


"ফজরের দু'রাকাত সুন্নাত সালাত,দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে 

[সহিহ মুসলিম-১২৪০]

"আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে উপরোক্ত হাদিসগুলো বুঝার সক্ষমতা দান করুন,আমিন!

যে ৭ টা৷ বৈশিষ্ট ইহুদি নারীদের মধ্যে ছিলো/যে ৭ টা বৌশিষ্ট কোন নারী মধ্যে থাকলে সে জাহান্নামে জাবে

 ইহুদী নারীদের ৭ বৌশৃষ্ট,,


১-টাকা পয়সা শুধু আমার জন্য খরচ করবা তোমার বাবার জন্য করতে পারবা না,,, 

সব সময় তারা বলে টাকা পয়সা শুধু আমার জন্য করচ করবা তোমার বাবা-মার জন্য খরচ করতে পারবে না, তারা চায় সব তাদের জন্যা বা তাদের বাবা মার জন্য টাকা পয়সা শুধু খরচ করবে, 


২- খোটা দান কারীনী,, খোটা দান কারী এমন যারা কোন কিছু করলে সব সময় খোটা দেয়, কাউকে দন করে খোটা দেই, কারো কোন উপকার করে সেটার খোটা দেয় 


৩- স্বামীর খেদমত করে না, স্বামীর খেদমত করে না সারাদিন নিজের মতো চলে, স্বামীর কতার কোন মুল্য নেই তাদের কাছে, স্বামী অসুস্থ হলে তারা সেবা যতনো করে না 


৪- বংশের গরম দেখানো,  এই সব মহিলারা কোন ভুল করলে সেটার জন্য তাদেরকে কোন কিছু বললে তারা তাদের বাবার বংশের গরম দেখায়, তারা বলবে আমার বাবা ওমিক আমাকে কিছু বলে দেখো কি করি তোমার, ইত্যাদি  বিষয়ে গরম দেখায়  তারা,,


৫- স্বামী কিনা জিনিস অপছন্দ করা, স্বামী কোন কিছু কিনে এনে দিলে তারা পছন্দ করে না তারা৷ বললে আমি বাজারে গিয়ে কিনে নেব, আমার তোমার কেনা জিনিস আমার পছন্দ  হয় না, 


৬- বেশি কথা বলা স্বামী কে,, এরা সব সময় বাচাল হয় সব সময় বেশি কতা বলে তারা৷ অন্যার দোষ খুজে বেড়ায় 

নিজের দোষ খুজে না, তারা তাদের স্বামী কে বলে ওমক বাড়ি গাড়ি করে নিলো তুমি কি করলে, আমার এটা চাই ওটা চায় ইত্যাদি  


৭- স্বামীর সাথে তর্ক করা এবং গায়ে হাত তোলে

এরা সব সময় স্বামীর মুখে মুখে  তর্ক করে স্বামী র সাথে ঝামেলা করে , স্বামী কোন কিছু নিষেধ করলে সেটা৷ অমান্য  করে চলে তারা,,  এবং স্বামী র গায়ে হত তোলে

Saturday, 15 August 2020

আসেন জেনে নিই কোন ৪ টি সুন্নত সব নবী রসুলদের মধ্যছিলো

বিশ্বনবী বলেছেন ৪ টি সুন্নত সব নবীদের মধ্যেছিলো ,,, 

 ১-সব নবী রসুল সুন্নাতে খাতনা করেছেন, হযরত ইব্রাহিম (আঃ)৮২ বছর বয়সে  নিজ হাতে নিজের লজ্জা স্থানের সামনের চামড়া কেটে, সুন্নাতে খাতনা করে ছেন 

২- সব নবী রসুল  বিয়ে করেছেন, কোন কোন বননায় এসেছে ইসা (আঃ) ছাড়া সবাই করেছেন , তো ইসা (আঃ) এখনো  জিবিত আছেন আকাশে তিনি আবার নামবেন পৃথিবীতে  এবং ৪০ বছর তাখবেন,  তো এই সময় টাই তিনি বিয়ে করবেন কিনা আমরা তো জানিনা,, 

৩- মেশওয়াক করা সব নবী রসুল  মেসওয়াক করতেন, মা আয়েশা (রঃ) বলেন বিশ্ব নবী  কোন দিন ভালোবাবে মেসওয়াক না করে কোন বিবির সাথে কথা বলতেন না,, 

৪-সুগ্ধী ব্যাবহার সব নবী রসুল সুন্ধী ব্যাবহার করতেন 

বিশ্ব নবী বলেন যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসে না সে আমার উম্মত  হতে পারে না,,

আসেন জেনে নিই৷ দাজ্জালের পরিচয়

 দাজ্জালের পরিচয়ঃ

দাজ্জাল মানব জাতিরই একজন হবে।   নবী
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পরিচয়
বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। মুমিন বান্দাগণ


তাকে দেখে সহজেই চিনতে পারবে এবং তার
ফিতনা থেকে নিরাপদে থাকবে। নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার যে সমস্ত পরিচয় উল্লেখ
করেছেন মুমিনগণ তা পূর্ণ অবগত থাকবে। দাজ্জাল
অন্যান্য মানুষের তুলনায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের
অধিকারী হবে। জাহেল-মূর্খ ও হতভাগ্য ব্যতীত
কেউ দাজ্জালের ধোকায় পড়বেনা।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
দাজ্জালকে স্বপ্নে দেখে তার শারীরিক
গঠনের বর্ণনাও প্রদান করেছেন। তিনি বলেনঃ
দাজ্জাল হবে বৃহদাকার একজন যুবক পুরুষ, তার একটা মাএ চোখ হবে, এবং তার কপালে দাজ্জাল লিখা তাকবে, এটা মুমিন ব্যাক্তিরা সুস্পষ্টভাবে পড়তে পারবে,, দাজ্জাল ৪০ দিন বেচে তাকবে এবং এই ৪০ দিনে সমস্তপৃথিবীতে ভমন করবে সে   

ছোট ছোট আমল যা ১ মিনিটেই করা যায়

 ]_এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন_[] প্রশ্নঃ- আমরা অফিসে বা কর্মস্থলে ইবাদত-বন্দেগী ও নেককাজের তেমন কোন সময় পাই না। অফিসের পর বাকী যে স...