Saturday 29 August 2020

ছোট ছোট আমল যা ১ মিনিটেই করা যায়

 ]_এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন_[]


প্রশ্নঃ- আমরা অফিসে বা কর্মস্থলে ইবাদত-বন্দেগী ও নেককাজের তেমন কোন সময় পাই না। অফিসের পর বাকী যে সামান্য সময় পাই এর মধ্যে আমরা কি কি আমল করতে পারি এবং এ সময়কে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি?

-------------

উত্তরঃ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।


সময় মানুষের জীবন। সময়কে কখনো অপচয় হতে বা অকাজে নষ্ট হতে দেয়ার মত নয়। প্রজ্ঞাবান ও বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে তার সময়ের সদ্ব্যবহার করে। তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তি সময়কে অহেতুক কাজে বা অর্বাচীন কথায় ব্যয় করে না। বরং তিনি সময়কে প্রশংসনীয় উদ্যোগ ও ভাল কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন। যে কাজ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে এবং মানুষের উপকার বয়ে আনে। জীবনের প্রতিটি মিনিটে আপনি একটি করে প্রস্তর স্থাপন করতে পারেন যা আপনার মর্যাদার ভবনকে উচ্চকিত করবে এবং যা দিয়ে আপনার জাতি সৌভাগ্যমণ্ডিত হতে পারবে। 


আপনি যদি মর্যাদার শিখরে পৌঁছুতে চান এবং আপন জাতিকে সৌভাগ্যমণ্ডিত করতে চান তবে আরাম-আয়েশকে না-বলুন এবং অনর্থক কথা ও কাজ পরিহার করুন।


এক মিনিট সময়ের মাঝে অনেক ভাল কাজ করা যেতে পারে এবং বিশাল সওয়াব পাওয়া যেতে পারে। শুধু আপনার জীবনের এক মিনিট সময় ব্যয় করে আপনি আপনার দানের পরিধি বাড়াতে পারেন, কোন কিছু উপলব্ধি করতে পারেন, কোন কিছু মুখস্থ করতে পারেন, যে কোন নেককাজ করতে পারেন। শুধু এক মিনিটেই আপনার ভালো কাজের আমলনামায় এই আমলগুলো লেখা হয়ে যাবে যদি আপনি জানেন কিভাবে এক মিনিট সময়কে কাজে লাগাতে হয় এবং বাস্তবে কাজে লাগান। কবি বলেন:


“প্রতিটি মিনিটে বৃহত্তর কল্যাণে প্রবৃত্ত হও।


যদি তুমি এক মিনিটকে ভুলে যাও তবে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও ভুলে যাবে; বরঞ্চ বাস্তবতাকে ভুলে যাবে।”


আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় এক মিনিটে আপনি যে যে আমলগুলো করতে পারেন নিম্নে এর কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হলো:


১) এক মিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، ) ও (سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ) ৫০ বার পড়তে পারেন। এ দুটি এমন বাক্য যা পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লাতে অনেক ভারী হবে; রহমানের নিকটে অতি প্রিয়; যেমনটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম।


(২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সুব্‌হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্‌বার পাঠ করা যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয়।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম (২৬৯৫)]আপনি এক মিনিটে বাক্যগুলো ১৮ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যগুলো আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়। এগুলো সর্বোত্তম কথা এবং আমলের পাল্লাতে এগুলোর ওজন অনেক বেশি হবে। যেমনটি এ মর্মে বর্ণিত সহীহ হাদিসসমূহে এসেছে ।


(৩) এক মিনিটে আপনি (لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ) (অর্থ- কোন উপায়-সামর্থ্য নেই, কোন শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) ৪০ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যটির সওয়াব জান্নাতের জন্য সঞ্চিত অমূল্য রত্ন; যেমনটি বর্ণিত হয়েছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে। একই ভাবে এটি কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বহন ও কঠিন কাজসমূহ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে এক মহৌষধ।


৪) এক মিনিটে আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ৫০ বার দরূদ পাঠ করতে পারেন। শুধু পড়বেন “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। এর প্রতিদানে আল্লাহ আপনার উপর ৫০০ বার সালাত (রহমত) পাঠাবেন। কারণ একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ ১০ বার এর প্রতিদান দেন।


(৫) এক মিনিটে আপনার মন আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, তাঁর ভালবাসা, তাঁর ভয়, তাঁর প্রতি আশা এবং তাঁর প্রেমে উদ্বেল হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি উবূদিয়্যাহ্‌ (আল্লাহর দাসত্ব) এর স্তরসমূহ অতিক্রম করতে পারেন; হতে পারে সে সময় আপনি হয়ত আপনার বিছানায় শুয়ে আছেন অথবা কোন পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছেন।


(৬) এক মিনিটে আপনি সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়তে পারেন।


(৭) এক মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ‘সিলাতুর রাহেম’ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারেন।


(৮) এক মিনিটে আপনি দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দোয়াগুলো হতে পছন্দমত যে কোন দোয়া করতে পারেন।


(৯) এক মিনিটে আপনি কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারেন ও তাদের সাথে মুসাফাহা করতে পারেন।


১০) এক মিনিটে আপনি (لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله) (অর্থ- আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই) প্রায় ৫০ বার পড়তে পারেন। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য ও তাওহীদের বাণী। এটি কালিমায়ে তাইয়্যেবা (উত্তম বাণী) ও সুদৃঢ় বাক্য। যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে এই বাক্য তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এছাড়াও এর ফজিলত ও মর্যাদার ব্যাপারে আরও অনেক বর্ণনা রয়েছে। 


(১১) একমিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَى نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ) (আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমান, তাঁর সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজনের সমান, তাঁর বাক্যমালার কালির সমান) এ দোয়াটি ১৫ বারের বেশি পড়তে পারেন। সাধারণ তাসবীহ ও যিকিরের চেয়ে এ বাক্যগুলো পাঠ করার সওয়াব অনেকগুণ


(১) এক মিনিটে আপনি সূরা ফাতিহা মনে মনে দ্রুতগতিতে ৩ বার পড়তে পারেন। কেউ কেউ হিসাব কষে দেখিয়েছেন একবার সূরা ফাতিহা পড়লে ৬০০ টিরও বেশি নেকি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি তিনবার সূরা ফাতিহা পাঠ করেন তবে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় ১৮০০ এর বেশি নেকি হাসিল করবেন। এত নেকী আপনি এক মিনিটেই পাচ্ছেন।


(১২) এক মিনিটে আপনি সূরা ইখলাস (ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ) মনে মনে দ্রুতগতিতে ২০ বার পড়তে পারেন। এই সূরা একবার পাঠ করলে কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি এ সূরাটি ২০ বার পাঠ করেন তবে তা ৭ বার কুরআন পড়ার সমতুল্য। অতএব আপনি যদি এ সূরাটি প্রতিদিন এক মিনিটে ২০ বার পাঠ করেন তবে মাসে আপনার ৬০০ বার পাঠ করা হয় এবং বছরে ৭২০০ বার পাঠ করা হয়। যার সওয়াব ২৪০০ বার সম্পূর্ণ কুরআন পড়ার সমতুল্য।


(১৩) এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কিতাবের এক পৃষ্ঠা পাঠ করতে পারেন।


(১৪) এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কিতাবের ছোট একটি আয়াত মুখস্থ করতে পারেন।


(১৫) এক মিনিটে আপনি নিম্নোক্ত দোয়াটি ২০ বার পড়তে পারেন।


لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ


এর সওয়াব ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ৮ জন দাসকে আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত করার সমান।


(১৬) এক মিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِه) ১০০ বার পড়তে পারেন। যে ব্যক্তি একদিনে এই দোয়াটি ১০০ বার পড়ে তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়; যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয় না কেন।

১৬) এক মিনিটে আপনি সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়তে পারেন।


(১৭) এক মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ‘সিলাতুর রাহেম’ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারেন।


(১৮) এক মিনিটে আপনি দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দোয়াগুলো হতে পছন্দমত যে কোন দোয়া করতে পারেন।


(১৯) এক মিনিটে আপনি কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারেন ও তাদের সাথে মুসাফাহা করতে পারেন।


(২০) এক মিনিটে আপনি কোন ব্যক্তিকে একটি মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করতে পারেন।


(২১) এক মিনিটে আপনি একজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষকে সান্ত্বনা দিতে পারেন।


(২২) এক মিনিটে আপনি পথ থেকে ক্ষতিকর কোন বস্তু অপসারণ করতে পারেন। 


(২৩) এই এক মিনিটের সদ্ব্যবহার অবহেলায় কাটানো বাকি সময়গুলোর সদ্ব্যবহার করার অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করতে পারে।


২৪) এক মিনিটে আপনি একটি ভাল কাজের আদেশ করতে পারেন।


(২৫) এক মিনিটে আপনি একজন ভাইকে নসিহত করতে পারেন।


ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: 

“যখন ঘুমন্ত লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে তখন আমি আমার চোখের অশ্রু ফেলি এবং শ্রেষ্ঠ কবিতার একটি চরণ বারবার আওড়াতে থাকি।


কোন জ্ঞান অর্জন ছাড়া রাতগুলো কেটে যাবে এবং আমার জীবন থেকে হিসেব করা হবে- এটি কি সময়ের অপব্যয় নয়? ”


পরিশেষে জানুন আপনার ইখলাস (একনিষ্ঠতা) ও আল্লাহর নজরদারির অনুভূতির ভিত্তিতে আপনার প্রতিদান বাড়বে, আপনার নেকীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।


জেনে রাখুন, এই আমলগুলোর বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না। এগুলোর জন্য আপনার পবিত্রতার প্রয়োজন নেই, ক্লান্তি বা কায়িক শ্রম নেই। বরং আপনি এ আমলগুলো করতে পারেন যখন আপনি পায়ে হেঁটে চলছেন অথবা গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন অথবা শুয়ে আছেন অথবা দাঁড়িয়ে আছেন অথবা বসে আছেন অথবা কারও জন্য অপেক্ষা করছেন।


একইভাবে এ আমলগুলো সুখী হওয়ার উপকরণ, আত্মপ্রশান্তির মাধ্যম, চিন্তা ও দুঃশ্চিন্তা দূর করার উপায়। আল্লাহ আমাদেরকে ও আপনাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার তাওফিক দিন। আমাদের নবীর প্রতি আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।


আপনাদের জন্য খুব কম সময়ের আমল খুঁজে নিয়ে পোস্ট করলাম। এখন এই আমল গুলির সবগুলো না করলে ও যদি কিছু কিছু আমল আমরা রমাদানে যথার্থ ভাবে করতে পারি কত কত নেকী জমা হবে সুবহানাল্লাহ! রমাদানে তো যেকোন কিছুর প্রতিদান বহুগুণে বর্ধিত করা হয়।


তাহাজ্জুদ নামায পড়ার নিয়ম ::: ♥

 ☞ তাহাজ্জুদ নামাযের সময়ঃ

অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের

মুল সময় মুলত রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ

পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশা সালাতের

পর পড়ে নেয়া জায়েয আছে।

তবে পরিপূর্ণ তাহাজ্জুতের মর্যাদা পেতে হলে, এশার নামাযের পর

ঘুমিয়ে রাত ২টা বা ৩টার দিকে উঠে নামায আদায় করতে হবে।


☞ তাহাজ্জুদ নামাযের আগে করণীয়ঃ

হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতেন তখন

মিসওয়াক করতেন এবং আমাদেরকেও মিসওয়াক করার হুকুম দেয়া হত,

আমরা যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতাম, অতঃপর নবী (সাঃ) অযু করতেন

(মুসলিম) । তারপর নীচের দু’আ ও তাসবীহগুলি দশবার করে পড়তেন ।

তারপর নামায শুরু করতেন (আবু দাউদ, মেশকাত ১০৮ পৃঃ)


☞ তাহাজ্জুদ নামাযের রাকআত সংখ্যাঃ

সর্ব নিম্ন দু রাকআত। আর সর্বোচ্চ ৮ রাকআত পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের

৮ রাকাত নামায আদায় করার পরে, বিতর ৩রাকাত নামায পড়া। রাসুল (সাঃ)

তাহাজ্জুদের নামায বেশিরভাগ সময় ৮রাকাত পরতেন এবং এঁর পর বিতরের

নামায পরে মোট ১১রাকাত পূর্ণ করতেন।


১। তাহাজ্জুদ নামায বিতরসহ ১৩, ১১, ৯ কিংবা ৭ রাকাত পড়া যায় (বুখারী, মুসলিম,

মেশকাত ১০৬ পৃঃ)

২। প্রথমে দু’রাকাত ছোট ছোট সুরা মিলিয়ে হালকাভাবে পড়ে আরম্ভ

করবে (মুসলিম, মেশকাত ১০৬ পৃঃ)

৩। অতঃপর দু’রাকাত করে, তাহাজ্জুদের নামায সাত রাকাত পড়তে চাইলে

দু’সালামে চার রাকাত পড়ে তিন রাকাত বিতর পড়বে । (বুখারী, মেশকাত

১০৬ পৃঃ)


(১) দশবার “আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)

(২) দশবার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই)

(৩) দশবার সুব্হানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী (আমি আল্লাহ প্রশংসার সাথে তাঁর

পবিত্রতা ঘোষনা করছি)

(৪) দশবার সুব্হানাল মালিকিল কদ্দুস (আমি মহা পবিত্র মালিকের গুণগান করছি)

(৫) দশবার আসতাগফিরুলাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি)

(৬) দশবার লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ

নেই)

(৭) দশবার আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন দীক্বিদ্দুনিয়া ওয়া দীক্বি

ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ (হে আল্লাহ! আমি এই জগতের এবং পরকালের সঙ্কট

থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি)


☞ তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়মঃ

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। যে কোন সুরা

দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখুস্ত থাকে

তবে, সেগুলো দিয়ে পড়াই উত্তম। কারন রাসুল (সাঃ) সব সময় বড় বড় সুরা

দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। তাই আমাদেরও বড় সুরা মুখুস্ত

করে, তা দিয়ে তাহাজ্জুত নামাদ আদায় করা উচিৎ।

যাইহোক, বড় সুরা মুখুস্ত না থাকলে যে কোন সুরা দিয়েই নামায আদায়

করা যাবে। নিয়ম হল ২রাকাত করে করে, এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক

রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর, অন্য যে কোন সুরা মিলানো। এভাবেই

নামায আদায় করতে হবে।


বিঃদ্রঃ- যদি এশার নামায পরে বিতরের নামায পড়ে থাকেন, তবে তাহাজ্জুত

নামায পড়ার পড়ে বিতর নামায পড়ার দরকার নেই। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু

করে ৮রাকাত তাহাজ্জুত নামায পরলেই হবে


আল্লাহ, আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদের পরিপূর্ণ মর্যাদা লাভ করার তৌফিক

দাণ করুন।

আমিন.......

ড্রিপেশন থেকে মুক্তির উপায়

 "হতাশ হয়ো না, উঠো! সিজদাহ করো এবং কাঁদো!" -- সূরা ইউসুফ : ৮৬

-

"আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।"

-- সূরা ত্বলাক : ৭

-

"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"

-- সূরা ইনশিরাহ : ৬


"হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।"

-- সূরা মারইয়াম : ৪

-

অতএব, কোনো হতাশা আমার জন্য নয়।

আমিই সফলকামী এবং বিজয়ী হবো,ইনশাল্লাহ!

-

"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।"-- সূরা বাক্বারা : ১৫৫

-

"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।"

‌‌ -- সূরা বাক্বারা : ১৫৩

-

"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।"

-- সূরা ইউসুফ : ৮৬

-

"জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।"

-- সূরা বাক্বারা : ২১৪

-

"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।"

-- সূরা ইউসুফ : ৮৭

-

"আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।"

-- সূরা বাক্বারা : ২৮৬

"' আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল '"

সকল অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করুন 😊

আল্লাহ  আপনাকে সকল বিপদ থেকে মুক্তি দিবে

জাহান্নমে _অবস্থানের পর জাহান্নামীরা চারটি আকাঙ্ক্ষা করবেঃ😭😭😭

 ১ম আকাঙ্ক্ষাঃ

তারা জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে। তাই তারা আল্লাহ তা'আলাকে বলবেঃ

رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُون

"হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নাও। আমরা যদি আবারও কুফরী করি তাহলে আমরা জালেম বলে গণ্য হবো।


 তখন তিনি তাদেরকে বলবেনঃ َ اخْسَئُوا فِيهَا وَلَا تُكَلِّمُون "তোমরা এখানে লাঞ্ছিত অবস্থায় পড়ে থাকো এবং আমার সাথে কোন কথা বলিও না"।


এই প্রত্যাশা থেকে নিরাশ হওয়ার পর তারা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারবে যে তাদের বের হওয়ার আর কোন পন্থা নেই। তখন তারা দ্বিতীয় আশাটি করবে।


২য় আকাঙ্ক্ষাঃ


وَ نَادٰۤی اَصۡحٰبُ النَّارِ  اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ اَفِیۡضُوۡا عَلَیۡنَا مِنَ الۡمَآءِ اَوۡ مِمَّا رَزَقَکُمُ  اللّٰہُ ؕ قَالُوۡۤا  اِنَّ اللّٰہَ حَرَّمَہُمَا عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ 

আর জাহান্নামের অধিবাসীরা জান্নাতের অধিবাসীদের ডেকে বলবে, “আমাদের ওপর কিছু পানি ঢেলে দাও অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে জীবিকা (খাদ্য) দান করেছেন তার কিছু অংশ আমাদের দিকে দাও।” তারা বলবে, “আল্লাহ তো (আজ) এ দুটোই কাফেরদের জন্য হারাম করেছেন।


কেন হারাম করা হলো? তারা কি করতো??


তারা তো সেইসব লোক (الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَهُمْ لَهْوًا وَلَعِبًا ) যারা তাদের দ্বীনকে বিনোদন ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেছিল।

 এবং (وَغَرَّتْهُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا) ۚ দুনিয়ার জীবন তাদেরকে  ধোঁকা দিয়েছিল।


৩য় আকাঙ্ক্ষাঃ

আশ্চর্য এক আকাঙ্ক্ষা! শুনলেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায়! আর তা হচ্ছে অন্তত একদিনের শাস্তি থেকে বাঁচতে চাওয়া। 

وَقَالَ الَّذِينَ فِي النَّار لِخَزَنَةِ جَهَنَّم اُدْعُوَا رَبّكُمْ يُخَفِّف عَنَّا يَوْمًا مِنْ الْعَذَاب 

"যারা আগুনের মধ্যে থাকবে তারা জাহান্নামের প্রহরীদেরকে ডেকে বলবে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট একটু দোয়া করো, তিনি যেন আমাদের থেকে (অন্তত) একদিনের শাস্তি কমিয়ে দেন"!!!


তখন জাহান্নামের প্রহরীরা তাদেরকে বলবেঃ

 (ولم تك تأتيكم رسلكم بالبينات)... 

"তোমাদের রাসূলগণ কি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আগমন করেননি? (قالوا بلى).... তারা বলবেঃ হ্যাঁ, তখন ফেরেশতারা আবারো বলবেনঃ

(فادعوا وما دعاء الكافرين إلا في ضلال)

তাহলে তোমরা ডাকতে থাকো আর কাফেরদের দোয়া ব্যর্থই হবে। তারপর তারা চতুর্থ আকাঙ্ক্ষাটি করবে জান্নাতীদের থেকে।


৪থ আকাঙ্ক্ষাঃ

তারা জাহান্নামের দাড়োয়ান মালিকের কাছে আবেদন জানাবে তিনি যেন তাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করেন।


আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ তারা (জাহান্নামীরা) ডাকবে, হে মালেক (জাহান্নামে দাড়োয়ান) তোমার পালনকর্তা যেন আমাদের জন্য একটা ফয়সালা করেন।

অর্থাৎ আজাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তারা মরতে চাইবে।  তখন তিনি বলবেনঃ (َ إِنَّكُم مَّاكِثُونَ) তোমরা এখানেই অবস্থান করবে।


আমাদের সবাইকে জাহান্নম থেকে মুক্তি দেয় যেন আল্লাহ  ,, আমিন

কেমন ছিলেন আমাদের বিশ্ব নবী

 যেমন ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী - রাসুল (সঃ)💜

১/ তিনি দীর্ঘ সময় নীরব থাকতেন।

২/ তিনি কম হাসতেন। 

৩/ তিনি মুচকি হাসতেন, হাসি ওনার ঠোঁটে লেগে থাকতো।

৪/ তিনি অট্রহাসি হাসতেন না

৫/ তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ ত্যাগ করতেন না।

৬/ তিনি শতবার ক্ষমা প্রাথনা করতেন। 

৭/ তিনি কখনোই প্রতিশোধ নিতেন না।

৮/ তিনি যুদ্ধক্ষেএ ছাড়া কাউকেই আঘাত করেননি। 

৯/ তিনি বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তেন।

১০/ তিনি অসুস্থ হলে বসে নামাজ পড়তেন। 

১১/ তিনি শিশুদের সালাম দিতেন। 

১২/ তিনি সমাবেত মহিলাদের সালাম দিতেন। 

১৩/ তিনি শিশুদের পরম স্নেহ করতেন।

১৪/ তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কোমল আচরন করতেন।

১৫/ তিনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। 

১৬/ তিনি ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন।

১৭/ তিনি মিথ্যাকে সার্বাধিক ঘৃনা করতেন।

১৮/ তিনি উপহার গ্রহন করতেন।

১৯/ তিনি সাদকাহ (দান) করতেন।

২০/ তিনি সব সময় আল্লাহ কে স্মরণ করতেন।

/ শরীয়ত বিরোধী কথা হলে তা থেকে বিরত থাকতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন। 

/ আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি নিয়ামত কে কদর করতেন।

/ খাদ্য দ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন না হয় বাদ দিতেন।

/ ক্ষমা কে পছন্দ করতেন।

/ সর্বদা ধৈর্য্য ধারন করতেন।

রাসুল (সা.) এর গুনাবলী বর্ননা করে শেষ করা যাবে না।

/ তিনি আল্লাহ কে সব সময় ভয় করতেন

/ হাতে যা আসতো তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।

/ কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যাক্তি উঠা না পর্যন্ত তিনি উঠতেন না। 

/ বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না।

/ কথা বলার সময় সুস্পষ্ট ভাবে বলতেন যাতে শ্রবনকারী সহজেই বুঝে নিতে পারে। 

/ কথা, কাজ ও লেন- দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না। 

/ নম্রতা কে পছন্দ করতেন।

/ তার নিকট আগত ব্যাক্তিদের অবহেলা করতেন না। 

/ কারো সাথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতেন না।

/ শরীয়ত বিরোধী কথা হলে তা থেকে

#আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে নবী (সা.) এর চরিত্রে চরিএবান হওয়ার #তাওফীক দান করুক।

সবাইকে হেদায়ত দান করুক। 

আমিন💜....

....

... ভালো-লাগলে 

ফ্রেন্ড রিকোষ্ট পাঠাতে পারেন


আর যারা ইসলামিক গল্প বা পোষ্ট পরতে ভালোবাসেন তাদের কে  আমার এই সাইটি তে  ইসলামিক পোষ্ট করা  আছে  ভিজিট করার আমন্ত্রন রইল

   

ধন্যবদ

Friday 28 August 2020

উহুদ যুদ্ধের ১ টা ঘটনা

 উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে! 

সকল শহীদের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। 

নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নাই ... একজন তাঁর চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন হানজালা (রাঃ)। অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন লাশ খুজার জন্য। ...হটাত বোরকা পরা এক মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির কাছে। নবী তাকে চিনলেন না। -মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ আজকে আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন মনে আছে? নবীজি বলেন; হা আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছি। যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। 

-মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও শুকায় নি। কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল তারপর রাতে উহুদ যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেছে হা্নজালা। বাসর রাতে উনার সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নাই। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছেন "যদি দেখা হয় তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে দেখা হবে জান্নাতে"। 

মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ,, যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্মন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই হানজালা জন্য গোসল ফরজ। 

নবীজি কাঁদতেসেন। মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না, আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন? নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল ইয়া রাসুল্লাহ হানজালা কে পাওয়া গেছে। --- সবাই গেলেন। গিয়ে দেখলেন সাদা কাফনের ভিতর লাশের মাথায় পানি। নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন। জিবরাঈল আসলো! ...এসে বলল; ইয়া রাসুল্লাহ হানজালার কোরবানিতে আল্লাহ্ পাক এতটাই খুশি হয়েছে যে আল্লাহ আমাদের  আদেশ করলেন তাকে নিয়ে আসতে। ...ইয়া রাসুল্লাহ আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি এবং তার শরীরে থেকে যে সুগন্ধ পাচ্ছেন, এটা আল্লাহ্ পাকের বিশেষ খুসবু মিশক আম্বর আতরের ঘ্রাণ । আমরাই উনাকে কাফনের কাপড়ে আচ্ছাদিত করেছি ।......

সুবহানআল্লাহ !!! আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় মানুষকে কি পরিমাণ ভালবাসেন, কি পরিমাণ সম্মানিত করেন তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়।

পরিশেষে বলতে চাই, "হে আল্লাহ্ _ আপনি আমাদেরকে সফল মানুষদের দিনের পথের পথিক হওয়ার তওফিক দান করুন,

Wednesday 26 August 2020

বিশ্ব নবীর দৃষ্টিতে সেরা ১০ মানুষ কে? কে?

 সেরা ১০


মানুষ


১-(এক) রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়। ’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৫০২৭)।


২-(দুই) রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬০৩৫)।

৩-(তিন) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো। ’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ২৩০৫)।


৪-(চার) রাসূলে করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ২২৬৩/২৪৩২)।


৫-(পাঁচ) রাসূলে করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের কাছে ভালো।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নম্বর : ৪১৭৭)।


৬-(ছয়) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ ও কর্ম ভালো হয়।’ (জামিউল আহাদিস, হাদিস : ১২১০১)। 


 


৭-(সাত) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সর্বোত্তম মানুষ সে, যে মানবতার জন্য অধিক কল্যাণকর ও উপকারী।’ (সহিহুল জামে, হাদিস নম্বর : ৩২৮৯)।


৮-(আট) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে অন্তর স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ৩২৯১)।


৯-(নয়) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ১৯৪৪)।


১০-(দশ) রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে বেশি সুন্দর।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৩৫৫৯)।


নোট --মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর দৃষ্টিতে সেরা মানুষগুলোর গুণাবলীতে পরিপূর্ণ করে দিন।

আর আমাদের এই সাইটি ভিজিট করার অনুরধ রইল

ছোট ছোট আমল যা ১ মিনিটেই করা যায়

 ]_এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন_[] প্রশ্নঃ- আমরা অফিসে বা কর্মস্থলে ইবাদত-বন্দেগী ও নেককাজের তেমন কোন সময় পাই না। অফিসের পর বাকী যে স...